খুবই মর্মান্তিক ঘটনাঃ বিবাহিতা দেখে প্রেমিকের ফাঁস, প্রেমিকার আত্মহত্যা, দাদার মৃত্যু
‘প্রেমিকাকে’ বিবাহিত দেখার পর ‘আত্মহত্যা’ করেছে এক কিশোর। তার নাম রবিউল ইসলাম রাসেল (১৬)। এরই জের ধরে পরদিন ’আত্মহত্যা করে’ সেই ‘প্রেমিকাও’। আর নাতির লাশ দেখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দাদা।
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলাধীন বালিয়াকান্দি গ্রামের এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, রাসেলের সঙ্গে একই গ্রামের আবু সাইয়িদের মেয়ে সাদিয়া আক্তার ঋতুর (১৬) প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তিন মাস আগে বিয়ে হয়ে যায় সাদিয়ার। সম্প্রতি সাদিয়া বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রবাসী সিদ্দীকুর রহমানের ছেলে ক্ষেতুপাড়া আব্দুর সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রাসেল (১৬) গলায় ফাঁস নিয়ে নিজ ঘরে ‘আত্মহত্যা’ করে।
এ সংবাদে বুধবার সকালে সাদিয়া আক্তার ঋতু (১৬) বাবার বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করে। অন্যদিকে রাসেলের লাশ দেখে অসুস্থ হয়ে মারা যান দাদা মাসুদ মোল্লা (৫০)।
সাদিয়া আক্তার ঋতুর মা জাবেদা খাতুন জানান, ‘রাসেলের লাশ দেখার জন্য ভোরে আমি ঋতুকে বলি। সে তাতে রাজি হয় না। আমি বাইরে থেকে এসে দেখি ঋতু ঘরের আঁড়ার সাথে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
রাসেলের মা রুলিয়া খাতুন জানান, ‘আমার ছেলে ও ঋতু একই সাথে স্কুলে যেত। তাদের দুই জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তা আমরা জানতাম না।’
একই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর সংবাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। শোকে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।