179070

মায়ের ফাঁসির দাবিতে আদালতে দুই শিশু

ছয় বছর আগে এমি ও রাব্বানির বাবাকে হত্যা করেছিল তার মা। আর নির্মম সেই খুনের পেছনে ছিল মায়ের পরকীয়া।বুধবার মায়ের ফাঁসির দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে আদালত প্রাঙ্গনে দেখা যায় নবম শ্রেণি পড়ুয়া এমি ও সপ্তম শ্রেণির মাশরাফি রাব্বানিকে।
.
বুধবার ঢাকার সাত নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সি রফিউল আলম মুক্তা জাহান ও প্রেমিক জসিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
কিন্তু, তাতে খুশি হতে পারেনি এই দুই শিশু।
রায়ের পর ‘পিতা হত্যার বিচার চাই, ঘাতক মুক্তা জাহান ও প্রেমিক জসিম আর মাহবুবের ফাসি চাই’ লেখা সংবলিত ব্যানার নিয়ে আদালত প্রাঙ্গনে তাদেরকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
এমি পরিবর্তন ডটকমকে বলে, ‘চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবাকে হারিয়েছি। মায়ের এ জঘন্য কাজের জন্য আমরা তার ফাঁসি চাই। এমন মায়ের মুখ আমরা আর দেখতে চাইনা।’

বাদী পক্ষের (নিহত) পক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা পরিবর্তনকে জানান, ‘এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তারা আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মামলার অভিযোগ যেভাবে তারা প্রমাণ করতে পেরেছেন তাতে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়া উচিত ছিল।’
নিহতের ভাতিজা আরিফ হোসেন পরিবর্তন ডটকমকে জানান, ঘটনার সময় বাইরে ছিলাম। এসে শুনি কাকা স্ট্রোক করে মারা গেছেন। আমাদের সন্দেহ হয়। পরে দেখি গলার নিচে দাগ। পরে মুক্তা জাহান প্রেমিককে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করে।
মামলাটির চার্জগঠনের পর আদালত বিভিন্ন সময় চার্জশিটের ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
এতে মুক্তার নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে এমি ও সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে মাশরাফি রাব্বানিও প্রধান আসামি মা মুক্তা জাহানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে।
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট বিমানবন্দর থানাধীন কাওলার সিভিল এভিয়েশনের স্টাফ কোয়ার্টারে নিজ বাসায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় জাহাঙ্গীরকে। দুই সন্তানকে প্রাইভেট পড়তে পাঠিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। নিহত জাহাঙ্গীর পেশায় ছিলেন ড্রাইভার।
এ ঘটনায় নিহতের খালাতো ভাই মো. আব্দুল লতিফ বিমানবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তী সময়ে আসামিদের মধ্যে মুক্তা জাহান হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

ad

পাঠকের মতামত