178616

সংসারে সুখী হতে যেগুলো গোপন রাখবেন

একটি শান্তিপুর্ণ সংসার গড়ার পুর্ব শর্ত হলো সুন্দর দাম্পত্য জীবন। মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ বিষয় হলো দাম্পত্য জীবন। আর দাম্পত্য টিকে থাকে বিশ্বাস আর ভালোবাসার ওপর। সংসারে দুজন দুজনের প্রতি থাকে যথেষ্ট দায়িত্বশীল। সুখ আর সমৃদ্ধির মধ্য দিয়ে জীবনের বাকিটা সময় একসঙ্গে কাটানোর পরিকল্পনা থাকে সবার মাঝে। এই পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিতে দাম্পত্য সুখ অনিবার্য একটি সত্যের নাম। এই সত্যকে টিকিয়ে রাখতে কৌশলী হতে হয় দুজনকেই। আসুন আজ জেনে নেই সংসারে সুখী হতে যে বিষয়গুলো গোপন রাখতে হয়।

পুরোনো প্রেম
বিয়ের আগে দুয়েকটি প্রেমে অধিকাংশ ছেলেমেয়েই নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের ভাগ্যের লেখনি নিয়ে যায় অন্য কোনো ঠিকানায়। বিয়ের পর এসব ঘটনা কোনো ক্রমেই সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করা ঠিক নয়। বরং পুরোনো প্রেমকে ভুলে যেতে হবে সুখে থাকার জন্য। কারণ সুখের দাম্পত্য জীবনে আপনার পুরোনো ঘটনা হতে পারে সঙ্গীর জন্য জলন্ত চিতার মতো অসহনীয়।

পরিবারের দুর্নাম
নিজের পরিবারের দুর্নাম কখনোয় সঙ্গীর সঙ্গে আগ বাড়িয়ে আলোচনা করা ঠিক নয়। দাম্পত্য জীবনে সামান্য কলহে সেটিই হতে পারে ইস্যু। আপনিই ঘায়েল হতে পারেন আপনার বলা কথাতে। তবে শুধু নিজের পরিবারের নয়, সঙ্গীর পরিবার নিয়েও দুর্নাম করা ঠিক না। তাই ভবিষ্যতে অশান্তি বাড়াতে না চাইলে নিজের পরিবার সম্পর্কে সঙ্গীর সঙ্গে এসব আলোচনা না করাই ভালো।

বন্ধুদের সম্মান
নিজের বন্ধুদের সম্পর্কে কোনো গোপন কথা বা তাদের কোনো খারাপ কাজের সঙ্গে আপনি ছিলেন এমন কথা ভুলেও সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করবেন না। বিয়ের পরেও যারা বন্ধুদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চান, তাদের উচিৎ সঙ্গীর চোখে বন্ধুদের সম্মান রক্ষা করা। তা না হলে বন্ধুর সঙ্গে সঙ্গে আপনাকেও খারাপ ব্যক্তিত্বের মানুষ মনে করবে আপনার সঙ্গী।

ভালো কাউকে খুঁজছিলেন
আপনি হয়তো সঙ্গী হিসাবে আরও অন্যরকম কাউকে খুঁজছিলেন। হয়তো মনে মনে অন্য কাউকে ভেবেছিলেন। এসব কথা নিজের সঙ্গীকে একদমই বলার দরকার নেই। এমনকি বলার চিন্তাও করবেন না। কারণ আপনার কথাতেই সঙ্গীর মনে অনেক কষ্ট জমে যেতে পারে। নিজেকে ছোট ভাবতে পারে এমন কথা শুনে। এমন পরিস্থিতিতে আপনাকেও সে যথার্থ মূল্য দিতে চাইবে না।

অপক্ক দুষ্টুমি
কম বয়সে বন্ধুদের সঙ্গে মিশে নানা ধরণের দুষ্টুমি করতে পারেন। কিন্ত বর্তমানে তার ছিটেফোটাও আপনার মধ্যে নেই। যেমন অ্যালকোহল খাওয়া, পর্ণ আসক্ত হওয়া ইত্যাদি। যদি বয়সের সঙ্গে এসব বাজে অভ্যাস ছেড়ে দিয়ে থাকেন, তাহলে আর অতীতের কথা সঙ্গীকে জানানোর প্রয়োজন নেই। এসব কথা জানলে অকারণেই আপনার প্রতি তার খারাপ ধারণা জন্মাতে পারে।

ad

পাঠকের মতামত