178120

বাড়ির লোকজন জানতেনই না তাদের মেয়ে পতিতালয়ে!

নাম তার রানী (ছদ্মনাম)। যদিও জন্মের পর বাবা-মা আদর করে একটি নাম রেখেছিলেন, কিন্তু তা এখন হারিয়ে গিয়েছে। প্রেমহীন এই জনপদ ছেড়ে তিনি এখন ভিন্ন জগতের বাসিন্দা। যেখানে টাকার বিনিময়ে প্রতিদিনই নতুন করে বাসর সাজায় তারা।

চাকরিতে থাকা কালে, প্রথমে মোবাইল ফোনে পরিচয়, প্রেম; অতঃপর বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে সাভারের আশুলিয়া এলাকায় সংসার পাতেন এই নারী। ছেলেটির বাড়ি টাঙ্গাইল সদরে, শুধু এটুকুই জানতেন রানী। বিয়ের সপ্তাহখানেক পরে তার স্বামী বলে তাদেরবিয়ে তার পরিবার মেনে নিয়েছে। স্বামী বলেন, আজ রাতেই তারা টাঙ্গাইল যাবে।

অতঃপর স্বামী আর তার এক বন্ধু মিলে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে তারা রওনা হয়, রাত গভীর হয়ে আসে, গাড়ির ঝাঁকুনিতে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে আসে তার। ঘুম থেকে জেগে দেখেন টাঙ্গাইল ঠিকই গেলেন রানী কিন্তু শ্বশুরবাড়ি নয়; পতিতালয়ে। পতিতালয়ের সর্দারনীর কাছে বিক্রি করা হয় এক লাখ টাকায়। তখন থেকেই স্বপ্নার স্থান হয় দৌলতদিয়ার পতিতালয়ে। পরে জানতে পারেন তার স্বামী নারী পাচারকারীদের একজন।

প্রায় ছয় মাস এই পতিতালয়ের চার দেয়ালের মাঝেই বন্দী ছিলেন রানী। সম্প্রতি স্থানীয় সাংবাদিকের হস্তক্ষেপে অভিভাবকদের হাত ধরে তিনি ফিরে গেছেন তার নিজের ঠিকানায়। ইতিমধ্যেই তার পিতা নিশ্চিত করেছেন তাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা। যদিও তারা বিষয়টা শুনে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন।

ad

পাঠকের মতামত