177794

পাহাড় টপকাতে হবে টাইগারদের হোয়াইটওয়াশ এড়াতে


সিরিজের শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশের লজ্জার ভয় চেপে বসেছে বাংলাদেশ শিবিরে। সফরে প্রথমবারের মত টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের পাহাড় গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

নির্ধারিত ৫০ ওভারে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩৬৯ রান। ৩৭০ রানের টার্গেটই বলে দিচ্ছে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে কতটা দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলতে হবে টাইগারদের। কিন্তু টেস্ট সিরিজ থেকে শুরু করে গত দুটি ওয়ানডে ম্যাচ বাংলাদেশের সেই সামর্থ্য প্রমাণ করে না। তারপরেও আশা করতে দোষ কী?
লন্ডন পার্কে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হন দুই প্রোটিয়া ওপেনার। জুটি ছাড়িয়ে যায় শতরান। শেষ পর্যন্ত প্রোটিয়াদের দলীয় ১১৯ রানে ব্রেক থ্রু এনে দেন সিরিজে প্রথমবার সুযোগ পাওয়া অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের ঘুর্ণিতে লং অনে লিটন দাসের তালুবন্দী হলেন বাভুমা। আউট হওয়ার আগে অবশ্য ৪৭ বলে ৪৮ রানের একটি ছোটখাট ঝড় বইয়ে দিয়েছেন তিনি।

এরপর দ্বিতীয় আঘাত হেনে সেঞ্চুরির পথে থাকা কুইন্টন ডি কককে ফেরান মিরাজ।

মিরাজের বলে তার হাতেই ধরা পড়ার আগে ৬৮ বলে ৭৩ রান করেন ডি কক। এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস এবং অভিষিক্ত এইডেন মার্করাম। পেশিতে টান লেগে ডু-প্লেসিসের (৯১) মাঠ ছাড়ার আগে দুজনের জুটিতে এসেছে ১৫১ রান। এইডেন মার্করাম টেস্টের মত অভিষেক ওয়ানডেতেও রান-আউট হয়েছেন। টেস্টে হয়েছিলেন ৯৭ রানে; এবার ৬৬ রানে।
উইকেট গেলেও রানের গতি কমেনি প্রোটিয়াদের। তবে আজ ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠার আগেই রুবেল হোসেনের বলে মাশরাফির তালুবন্দী হন দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সাইক্লোন বইয়ে দেওয়া এবিডি ভিলিয়ার্স (২০)। এরপর জোড়া আঘাতে অভিষিক্ত মুলডার (২) এবং ফিলোকায়োকে (৫) প্যাভিলিয়নে পাঠান তাসকিন আহমেদ। শেষ পর্যন্ত পেসার রাবাদার ১১ বলে ২৩ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটে ৩৬৯ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা।

ad

পাঠকের মতামত