‘আমরা এমন অনেক ট্রাম্পকে মাটিতে পুঁতেছি’
ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরে আসার হুমকির পর বেশ ক্ষেপেছে ইরান। দেশটির সামরিক বাহিনী কুদস ফোর্সের ডেপুটি কমান্ডার তো সরাসরি মৌখিক আক্রমণ করে বসেছেন ট্রাম্পকে।
পাল্টা হুমকির স্বরে ঘানি বলেন, আমরা যুদ্ধবাজ দেশ নই। ইরানের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সামরিক পদক্ষেপ নিলে আফসোস করতে হবে। ইরানকে ট্রাম্পের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রেরই ক্ষতি করবে। আমরা এমন অনেক ট্রাম্পকে মাটিতে পুঁতেছি। আর এটাও জানি কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মাঠে নামতে হয়।
ইরানভিত্তিক বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি এক খবরে জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার ট্রাম্পের ওই হুমকির পরে কুদস ফোর্সের ডেপুটি কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসমাইল ঘানি পাল্টা এ হুমকি দেন।
এর আগে শুক্রবারেই ইরান সরকারকে ‘অতি গোঁড়া’ আখ্যায়িত করে দেশটির সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার হুমকি দেন ট্রাম্প। এ সময় তিনি ‘ইরান সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক’ বলে মন্তব্য করেন। দেশটির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ২০১৫ সালে বিশ্ব শক্তিগুলোর সঙ্গে করা চুক্তির শর্তগুলো ইতিমধ্যেই লঙ্ঘন করেছে ইরান।
তবে এই চুক্তির মধ্য দিয়ে পারমাণবিক স্থাপনায় পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কমিয়ে এনেছিল ইরান। বিনিময়ে ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। চুক্তির শর্তগুলো ইরান পুরোপুরি মেনে চলছে বলে জানায় আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাও।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দুবার বিষয়টি প্রত্যয়ন করেছেন। তবে রবিবার নির্ধারিত সময়সীমাকে সামনে রেখে তৃতীয়বারের মতো চুক্তিতে সমর্থন করবেন না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বল ঠেলে দিয়েছেন কংগ্রেসের কোর্টে। এখন মার্কিন আইনসভাকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে নির্ধারণ করতে হবে তারা পরমাণু চুক্তি থেকে সরে এসে ইরানের ওপর আবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে নাকি চুক্তিতে থেকে যাবে।
ইরানের সঙ্গে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি ও চীনের এই চুক্তির সমর্থনকারীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ট্রাম্প চুক্তি থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে আসবেন। তাঁদের সেই আশঙ্কা পরোক্ষভাবে বাস্তব হচ্ছে। কারণ ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, কংগ্রেস যদি চুক্তির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়, তাহলে তিনি নিজেই সেটি বাতিল করবেন।