ভেসে আসলো ১২ রোহিঙ্গার লাশ
নির্যাতনের শিকার হয়ে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসার পথে নাফ নদীর শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্টে আবারো রোহিঙ্গা বোঝায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাফ নদীর মোহনায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ভেসে আসা ৯ শিশুসহ ১২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১০/১৫ জন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রোববার রাতে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর সোমবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে আরও দশজনের মৃতদেহ। এসময় আরও ৮ জন রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
টেকনাফ থানার ওসি মাইনুদ্দিন খান জানিয়েছেন, নাফ নদীর মিয়ানমার অংশে নাইক্ষংদিয়া নামের চরে ম্যানগ্রোভ ফরেস্টে লোকজন এসে জমায়েত হয়। তারপর তাদের মধ্য থেকে ৪৫/৪০ জনের একটি দল গতকাল ১৫/১৬ জনের ধারণ ক্ষমতার নৌকায় করে রওনা হয়।
কিন্তু তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত চালু থাকায় সাগর ছিল উত্তাল। অতিরিক্ত যাত্রী বহনকারী নৌকাটি বাংলাদেশের শাহপরী দ্বীপে আসার সময় গোলার চরের কাছে রাত সাড়ে নটায় দিকে নাফ নদী ও সাগরের মোহনায় ডুবে যায়। নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযান চালায় বিজিবির সদস্যরা।
উল্লেখ্য, এর আগে সর্বশেষ গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বঙ্গোপসাগরের ইনানী সৈকতের পাটুয়ারটেক নামক এলাকায় ৮০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গাবাহী একটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছিল। ওই দুর্ঘটনায় ২৩ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছিল। এ নিয়ে ২৫টির মত নৌকাডুবির ঘটনায় ১৪৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।