175814

ভয়াবহ ব্যাটিং ধসে ৩৩৩ রানে হার বাংলাদেশের

হারটা অনুমিতই ছিল। তাই বলে এভাবে? আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে এসে ম্যাচটা ড্র করার কথাও বলেছিলেন লিটন কুমার দাস। সেটা কতটা বাস্তবোচিত ছিল হাড়ে হাড়ে টের পেলেন সোমবার। কোন রকম প্রতিরোধ নয়, চূড়ান্ত ধসের মধ্য দিয়ে শেষ হলো টাইগারদের পচেফস্ট্রুম টেস্ট। পঞ্চম দিন সকালেই দ্বিতীয় ইনিংসে ৯০ রানে অল আউট টাইগাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সবচেয়ে কম রানের লজ্জায় পুড়লো মুশফিকুর রহীমের দল। দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ফ্যাফ দু প্লেসিসর দল।

পঞ্চম দিনের সকালটা হতে পারতো টাইগারদের প্রতিরোধের। কিন্তু আসলে তা হলো ভয়াবহ ব্যাটিং ধসের। বাংলাদেশ এই টেস্ট জিতবে না এটা ছিল শতভাগ সত্যি। অপ্রিয় হলেও সত্য ড্রও করতে পারবে না এটাও ছিল নিয়তি। কিন্তু তাই বলে এমন ধসের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে কে ভেবেছিল। দুঃস্বপ্নও বোধহয় এভাবে হানা দেয় না।
সকালে কেউ সময় মতো টেলিভিশন সেটের সামনে বসে না থাকলে পরে তাকে ভিমড়ি খেতে হয়েছে।

৩ উইকেটে ৪৯ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। কাগিসো রাবাদার তোপে যা এক মুহূর্তেই হয়ে গেল ৬ উইকেটে ৬৭। আগের দিনের ১৫.৩ ওভার থেকে শুরু হয়েছিল খেলা। ১৭তম ওভারেই রাবাদার বলে হাশিম আমলার হাতে ক্যাচ হলেন মুশফিক (১৬)। ব্যাক্তিগত খাতে আগের দিনের সঙ্গে আর কোন রানই যোগ করতে পারলেন না তিনি। এরপর প্রথম ইনংসে ফিফটি করা মাহমুদউল্লাহ আউট মাত্র ৯ রান করেই। শিকারি বোলার সেই রাবাদা। মাহমুদউল্লাহ পরিস্কার বোল্ড হন। এরপর লিটন এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেন ৪ রান করে।

বাকী কাজটা করলেন কেশব মহারাজ। সাব্বিরকে ব্যাক্তিগত ৪ রানেই এলবিডব্লিউ করে ফেরালেন। বাংলাদেশের রান তখন ৬৭। সেই রানের সঙ্গে আর ৪ যোগ হতেই আউট তাসকিন (৪)। মহারাজের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়লেন তিনিও। শফিউল রান আউট হলে নবম উইকেট পড়ে বাংলাদেশের। মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে আটে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ তুলনামূলক বেশ কিছু সময় উইকেটে থাকলেন। ১৫ রান যোগ করলেন তারা দশম উইকেটে। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় উদযাপন কিছুটা বিলম্বিত হলো আর কি! শেষে মোস্তাফিজ (১) আউট হয়েছেন মহারাজের বলে। মিরাজ ১৫ রানে অপরাজিত থেকে গেছেন।

ad

পাঠকের মতামত