তামিম-মুমিনুলেই এখন স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
তামিম ইনিংস ওপেন করতে নামলেন না। সবার শঙ্কা ছিল, হয়তো বা তিনি ব্যাটিংই করতে পারবেন না। তবে নেমেছেন ৫ নম্বরে। মুমিনুল হকের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন তিনি। গড়েছেন ২৪ রানের জুটি। এর মধ্যে ২২ রান তামিমের একারই। মুমিনুল রয়েছেন ২৮ রান নিয়ে। দ্বিতীয় দিন শেষ হলো দু’জনকে এ অবস্থায় রেখে। বাংলাদেশের রান ৩৪ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৭। বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে এখনও ৩৬৯ রান।
যে উইকেটটি ছিল প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের জন্য পুরোপুরি ব্যাটিং উইকেট। বাংলাদেশের বোলাররা যে উইকেটে কোনো ক্যারিশমাই দেখাতে পারেননি, সে উইকেটেই যখন বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামলো, তখন সেটা হয়ে গেলো বোলিং উইকেট।
দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস এবং তামিমের পরিবর্তে মাঠে নামা লিটন কুমার দাস শুরুতেই বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে ফিরে গেলেন। দলীয় ১৬ রানে ৭ রান করে আউট হলেন ইমরুল কায়েস। এরপর ব্যাক্তিগত ২৫ রানে, দলীয় ৩৬ রানে আউট হলেন লিটন।
এ দুজন আউট হওয়ার পর ভালোই জুটি বাধলেন মুমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহীম। দু’জন মিলে গড়লেন ৬৭ রানের জুটি। ইমরুল-লিটনের দ্রুত বিদায়ের পর সবাই ভেবেছিল, মুমিনুল আর মুশফিক মিলে হয়তো একটা স্থিতাবস্থা নিয়ে আসতে পারবেন। কিন্তু সেটা সম্ভব হলো না আর। স্পিনার কেশাব মাহারাজের বলে ফরোয়ার্ড শট লেগে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মুশফিক। ৫৭ বল খেলে তিনি করেন ৪৪ রান।
এর আগে ইনিংসের শুরুতে তামিম ইকবাল ব্যাট করতে নামতে পারেননি। এ কারণে ইনিংস ওপেন করতে নামতে হয়েছে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে লিটন কুমার দাসকে। তবে ইমরুলই সর্ব প্রথম ভুলটা করে বসলেন। ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারেই উইকেট হারালেন তিনি। প্রোটিয়াদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে। নতুন বলে কিভাবে হালকা বাউন্স কিংটা শর্ট বল করে বাংলাদেশের ওপেনারদের বিপদে ফেলতে হবে, সে অ্যানালাইসিস করেই মাঠে নেমেছে স্বাগতিকরা।
৬ষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলটি কাগিসো রাবাদা করলেন শর্ট। এই বলটিই বুঝতে পারলেন না ইমরুল। ব্যাট আর গ্লাভসে লাগিয়ে জমা দিলেন দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো এইডেন মার্কামের হাতে। দলীয় রান তখন মাত্র ১৬। ৭ রান করে আউট হলেন ইমরুল।
ইনিংসের ১১তম ওভারেই উইকেট হারান লিটন কুমার দাস। এবারও প্রায় ইমরুলের মত একই ভুল করলেন তিনি। ব্যাটের বাইরের কানায় লাগিয়ে বল দিলেন প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো হাশিম আমলার হাতে। ক্যাচটি লুফে নিতে কষ্টই করতে হয়নি আমলাকে। দলীয় ৩৬ এবং নিজের ২৫ রানে ফিরে গেলেন লিটন।
এরপর মুমিনুল আর মুশফিক মিলে ৬৭ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় থামানোর চেষ্টা করলেও পারলেন না। কারণ, কেশব মাহারাজের ঘূর্ণি বুঝতে পারেননি। ব্যাট আর প্যাডে লেগে বল ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে গেলে ক্যাচ ধরেন সেই এইডেন মার্করাম।