
জেনে নিন বিছানায় কী কী বিষয় অপছন্দ করে নারী !!
এক নিমেষে ভেস্তে যেতে পারে তিলেতিলে গড়ে তোলা ইমেজ। জাস্ট কয়েকটা ভুলের কারণে প্রেমিকা ভীষণ চটে যেতে পারেন। পার্কের বেঞ্চে বা রেস্তরাঁয় বসে রোম্যান্স এক জিনিস। আর বন্ধ ঘরে আরও একটু কাছে আসা আরেক। সেখানে পারফরম্যান্সটাই শেষ কথা। এছাড়াও আরও অনেক বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। প্রথমেই দরকার প্রেমিকা/স্ত্রীর মন বোঝা। মোটেও ভাববেন না, সে সময় আপনিই রাজা। রানিকে খুশি করতে না পারলে রাজ্য থাকবে না, রাজত্বও না। তাই খুব সন্তর্পণে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকুন। যেমন –
বাবাসুলভ আচরণ নয়
একথা সত্যি, যে মহিলারা প্রেমিক/স্বামীর মধ্যে নিজের বাবার প্রতিচ্ছবি খোঁজে। কিন্তু তা বলে কাছাকাছি আসার সময়ও যদি বাবার মতোই শাসন চলে, কারোরই পছন্দ করে না। ফলে সেই সময়টায় নারীর আদর্শ পুরুষ হওয়ার চেষ্টা করুন। শাসন, পরামর্শ ছেড়ে হয়ে উঠুন প্যাশনেট প্রেমিক।
ক্রিয়া সমাপ্তির পর ঘুম নয়
অনেক পুরুষের মধ্যেই এই ধরনের আচরণ লক্ষ্য করা যায়। নিজে তৃপ্তি হয়ে গেলে প্রেমিকার দিকে চেয়েও দেখে না। পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পরে। অনেক মহিলারই এই নিয়ে নালিশ থাকে। তখন অতি সহজেই সঙ্গীর প্রতি মোহ হারিয়ে যায়। পরপুরুষকে ভালো লাগতে শুরু করে।
যৌনকল্পনায় প্রেয়সীর জায়গায় অন্য কেউ নয়
কিছু সংখ্যক পুরুষ যৌনতার সময় নানারকম ফ্যান্টাসির কথা শেয়ার করে প্রেমিকা/স্ত্রীর সঙ্গে। কিন্তু সেই ফ্যান্টাসির মধ্যে যদি প্রেমিকা/স্ত্রীর জায়গায় অন্য কেউ চলে আসে, প্রেমিকা অসন্তুষ্ট হবেই।
নারীকে গুরুত্ব দিন
নিজে তৃপ্তি হয়ে গেলেই খেলা মিটে গেল! এমন মানসিকতা থাকলে কিন্তু খুব সমস্যার বিষয়। যে পুরুষ যৌনতার সময় নারীর ভালোলাগা-মন্দলাগাকে আমল দেয় না, নারীরও তাকে বেশিদিন ভালো লাগে না।
হাইজিনের অভাব
অধিকাংশ নারীরই পিটপিটানি বাতিক। দুর্গন্ধ, অপরিচ্ছন্নতা একেবারেই পছন্দ নয়। যৌনতার সময় তো নয়ই। তাই সেদিকেও খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়।
প্রাক্তনীর উল্লেখ নয়
যৌনতার সময় গুণাক্ষরেও প্রাক্তন প্রেমিকার কথা উল্লেখ করবেন না। তিনি কেমনভাবে মিলিত হতেন, সে কথা একেবারেই শেয়ার করবেন না প্রেমিকা/স্ত্রীর সঙ্গে। কৌতূহলবশত সঙ্গিনীর প্রাক্তনীর কথাও জানতে চাইবেন না।