174322

সুচির ব্যর্থ প্রেমের প্রতিশোধের বলি রোহিঙ্গা মুসলমানরা

১৯৬৪ সালে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে অং সান সুচি এক পাকিস্তানি মুসলিম শিক্ষার্থীর সাথে গভীর প্রেমে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তারেক হায়দার নামক ওই শিক্ষার্থী ছিলেন একজন কূটনীতিক। তিনি পাকিস্তান সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান।অক্সফোর্ডে লেখাপড়ার পাঠ শেষ হলে তারেক হায়দার পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সুচির সঙ্গে সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটে। তাদের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় ভীষণভাবে মুষড়ে পড়েন সুচি। তখন থেকেই ভেতরে ভেতরে মুসলিমবিদ্বেষী হয়ে উঠেন সুচি। প্রতিশোধের আগুনে পুড়তে থাকেন। হয়তো সময় সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। সুচি মিয়ানমারের ক্ষমতা গ্রহণের পর তার প্রতিশোধের আগুন তীব্র হয়। শুরু হয় মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম নিধন।

সময়টা ১৯৬৪ সাল। ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। শীতঋতু শুরুর কিছুটা পূর্বাহ্নে শুকিয়ে আসা বিবর্ণ হরিৎ ও হরিদ্রা পাইন, ম্যাপল, ওক ও অন্যান্য বৃক্ষের পাতাগুলো খসে খসে সব স্তূপ হতে থাকে রাস্তায়।

আর এই রাস্তা ধরে সেইন্ট হিউ কলেজের ছাত্রাবাস থেকে মাউল্টন কোম্পানির একটি সাইকেলে চেপে প্রায় প্রতিদিন যাতায়াত করে সেইন্ট হিউ কলেজে সদ্য ভর্তি হওয়া সুচি নামের মেয়েটি। সুচি ভর্তি হয়েছে দর্শন বিষয়টিতে, আদতে তার ভর্তি হওয়ার ইচ্ছে ছিল ইংরেজি ও ফরেস্টি বিষয়গুলোতে। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি।

পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত আকীর্ণ স্কার্ট, ঊর্ধ্বাঙ্গে একটি জামা ও খোঁপায় একগোছা ফুল গুঁজে মেয়েটি যখন তার লাবণ্য ও দ্যুতি ছড়িয়ে সাইকেলের প্যাডেলটি হালকা চেপে ধীরগতিতে রাস্তা ধরে চলতে থাকে তখন প্রায় প্রতিটি ছেলের মনেই মৃদু দোলা দিয়ে যায়, শুরু হয় ধুকপুকানি। অনেক ছাত্রের হৃদয়েই জাগে সুচি নাম্মি এই মেয়েটিকে প্রেমিকা রূপে পাওয়ার তীব্র আকাক্সক্ষা।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে সুচি পড়াশোনা করেছেন দিল্লির বিখ্যাত লেডি শ্রীরাম কলেজে, রাজনীতি বিষয়ে। ওখানে অবশ্য তাদের জাতীয় পোশাক (সারং) হিসেবে, লুঙ্গি পরেই ক্লাস করা যেত। কিন্তু অক্সফোর্ডে এসে লুঙ্গি নামক এই পোশাকটি পরতে সুচির বেশ লজ্জাবোধ হয়। আর সে জন্যই কিছু দিন তিনি সাদা রঙের একটি জিন্স পরে ক্লাসে যেতেন নিয়মিত।

কিন্তু তার কিছু বার্মিজ বন্ধুবান্ধব আড়ালে টিপ্পনি কেটে বলত, ‘দেখ বিশ্রী বার্মিজ হাঁস সাদা জিন্স গায়ে চাপিয়ে বিলেতি রাজহাঁস সেজেছে।’ এই দুঃখে সুচি জিন্স ছেড়ে স্কার্ট ধরেছেন। অক্সফোর্ডে পড়তে এসে তার সমস্ত জীবনযাত্রাতেই ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। দিল্লিতে সুচির মা ছিলেন বার্মার রাষ্ট্রদূত। তার মা তাকে সব সময় অতন্দ্র প্রহরীর মতো প্রহরা দিয়ে রাখতেন।

কিন্তু অক্সফোর্ডে সে বাধা নেই। এখানে সে সম্পূর্ণ স্বাধীন। মুক্ত বিহঙ্গের স্বাদ নিতে গিয়ে সুচি জীবনে প্রথম প্রেমে জড়ালেন। ছেলেটি এসেছে পাকিস্তান থেকে। নাম তারেক হায়দার। পাকিস্তানি এ ছেলেটি একজন তরুণ কূটনীতিক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বৃত্তি নিয়ে সে এসেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে। তারেক হায়দার দেখতে সুদর্শন, সুঠাম ও দীর্ঘদেহী।

উপরন্তু সে একজন তরুণ কূটনীতিক। যেহেতু সুচির মা ছিলেন রাষ্ট্রদূত সেহেতু সুচির ছোটবেলা থেকেই কূটনৈতিক এই পেশাটির প্রতি বেশ মোহ কাজ করত। সুচির জীবনীকার বিখ্যাত লেখক ও সাংবাদিক পিটার পপহ্যাম লিখেছেন ‘এটি সত্যিই বেশ আশ্চর্যজনক যে সংস্কৃতিগতভাবে অনেক পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সু চি তারেক হায়দারের সঙ্গে আবিষ্ট হয়েছিলেন গভীর প্রেমে।’

ভারতে লেখাপড়ার সুবাদে তিনি অক্সফোর্ডে এসেও ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেই মেলামেশা করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বেঁধে গেলে, সু চি তারেক হায়দারকে খুশি করতে সকল ভারতীয় ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেন। অক্সফোর্ডে যে সব ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করে তাদের বেশিরভাগই সাধারণত প্রথম বিভাগ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

কিন্তু সুচি তারেকের সঙ্গে প্রেমে এতটাই মত্ত ছিলেন যে, শেষ পর্যন্ত তৃতীয় বিভাগ পেয়ে কোনো রকমে পরীক্ষায় পাস করেছিলেন। অক্সফোর্ডে লেখাপড়ার পাঠ শেষ হলে তারেক হায়দার পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সুচির সঙ্গে সম্পর্কের পরিসমাপ্তি ঘটে। তারেক হায়দার সূচির সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে অস্বীকৃতি জানান। তাদের দীর্ঘ প্রণয় ভেঙে যাওয়ায় ভীষণভাবে মুষড়ে পড়েন সুচি। অশ্রুবিসর্জনের মধ্য দিয়ে কাটে বেশ কয়েক মাস। ক্ষুব্ধ সুচি হয়তো তখনই সিদ্ধান্ত নেন প্রতিশোধের।

সুচির জীবনীকার পপহ্যাম লিখেছেন সুচি প্রায় বছরখানেক সময় বিরহে কাটিয়ে ছিলেন তারেক হায়দারের জন্য, সে সময় তিনি ছিলেন শোকে মোহ্যমান ও বিধ্বস্ত। তার এই শোকগ্রস্ত অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য ইংল্যান্ডে সুচির পরিবারের পুরনো বন্ধু স্যার পল গর বুথ ও মিসেস বুথের পুত্র ক্রিস্টোফার সুচির প্রয়াত স্বামী মাইকেল আরিসের সঙ্গে সুচির পরিচয় করিয়ে দেন এবং পরবর্তীকালে বছর তিন-চারেক পরে ১৯৭২ সালে তারা দুজন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
বর্তমানে রাখাইন প্রদেশে হাজার হাজার বিপন্ন মানুষ ও জনপদ দেখে কেন যেন মনে হয় সুচি কি তাহলে এখন তার বহুকাল আগের ব্যর্থ প্রেমের প্রতিশোধ নিচ্ছেন? এমনটি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

মিয়ানমারে গণতন্ত্রের মানসকন্যা সুচি শান্তিতে নোবেল পেয়ে কীভাবে তিনি হত্যা, লুণ্ঠন ও ধর্ষণের মতো বিষয়গুলোতে নীরবে ইন্ধন জুগিয়ে যাচ্ছেন। ধর্মের কথা না হয় বাদই দিলাম। কিন্তু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের লোকজন তো মানুষ। না কি তারা জীবজন্তু? বনের পশুদেরও মানুষ এভাবে হত্যা করে না কিংবা করে না লুণ্ঠন ও ধর্ষণ। শান্তিতে নোবেল পাওয়া তথাকথিত এই শান্তির প্রতিভূ না কি আবার গান্ধীভক্ত। বিষয়টি সত্যিই বেশ হাসির খোরাক জোগায়। ১৯৮৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি কমবেশি প্রায় পনের থেকে একুশ বছর গৃহবন্দি ছিলেন।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন এই পুরোটা সময় তিনি বই পড়ে কাটিয়েছেন। কী ধরনের বই যে তিনি পড়েছেন সে প্রশ্ন আসতেই পারে সামনে। তবে সেখানে যে কোনো মানবতার বই ছিল না সে বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত। সুচি আরও বলেছিলেন, তার সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিত্ব মহাত্মা গান্ধী।

ভাবতেই অবাক লাগে তিনি যখন তার বাসভবনে গৃহবন্দি ছিলেন তখন তার বাসভবন ঘেঁষে ছিল সামরিক জান্তা প্রদত্ত নিরাপত্তা চৌকি। রাতের অন্ধকারে সুচি মহাত্মা গান্ধীর অহিংস দর্শনের অনেক বাণী লিখে সেগুলো সেঁটে দিয়ে আসতেন নিরাপত্তা কর্মীদের ঘরের দেয়ালে। কথাবার্তায়, আচার-আচরণে, বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি গান্ধীজীর অহিংসার কথা বলতেন; বৌদ্ধধর্মের শান্তির কথা বলতেন, গণতন্ত্রের কথা বলতেন, মুক্তির কথা বলতেন।

অথচ আজ এত বড় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রাখাইন প্রদেশের হাজার হাজার মুসলিম জনগণ অসহায় কিন্তু তাদের পাশে নেই, সেই গান্ধীভক্ত শান্তির প্রতিভূ অং সান কন্যা সুচি। এ কথা বলা যায় নিঃসন্দেহে যে, আজ যদি মহাত্মা গান্ধী বেঁচে থাকতেন তবে সুচির এই সাক্ষাৎকারটি পড়ে হৃদযন্ত্রের ক্রীয়া বন্ধ হয়ে মারা যেতেন নিশ্চয়ই। বিশিষ্ট গান্ধী ভক্তের মগজ আজ সাম্প্রদায়িকতায় আচ্ছন্ন।

সম্প্রতি, অং সান সুচি রোহিঙ্গাদের বিবেচনা করেছেন বিদেশি হিসেবে। তিনি বলেছেন রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক নয়। তারা বাঙালি। একজন শিক্ষিত মানুষের ইতিহাস বোধ কতটা তুচ্ছ ও নিম্ন হলে মানুষ এমন মন্তব্য করতে পারে।

সু চির মতো একজন মানুষ কীভাবে বললেন যে, রোহিঙ্গারা বাঙালি। এর কারণ কী এই যে, তাদের ভাষার সঙ্গে চট্টগ্রামের মানুষের ভাষার মিল রয়েছে। তাহলে তো বলতে হয় আসামের মানুষও বাঙালি কারণ তাদের কথ্য ভাষায় সিলেট অঞ্চলের মানুষের ভাষার সঙ্গে মিল রয়েছে। আসাম অঞ্চলের মানুষের যেমন রয়েছে অহমিয়া নামক স্বতন্ত্র একটি ভাষা ঠিক তেমন রোহিঙ্গাদেরও রয়েছে নিজস্ব একটি ভাষা। মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের (রাখাইন) রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আধুনিক লিখিত ভাষাই হলো রোহিঙ্গা ভাষা। এটি ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত যার সঙ্গে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার মিল রয়েছে।

বার্মায় মুসলমানদের আগমনের ইতিহাস অনেক পুরনো। মোহাম্মদ ইবনে আল হানাফি প্রথম মুসলমান হিসেবে ইসলাম প্রচারের জন্য আরাকান উপকূলে আসেন ৬৮০ খ্রিষ্ঠাব্দে। ইবনে আল হানাফি ও তার স্ত্রীর স্মৃতিস্তম্ভ মংডু উপত্যকায় এখনো বিদ্যমান। ইতিহাস থেকে জানা যায়, নবম শতাব্দী থেকে প্রচুর বাঙালি, পার্সিয়ান, তুর্কি, মোগল, আরবীয় ও পাঠানরা প্রথম বার্মিজ সম্রাট আনারাথার সময়ে আরাকানে বসতি স্থাপন শুরু করেন। ১০৫৫ খ্রিষ্ঠাব্দে বার্মিজ সম্রাট আনারাথার

রাজদরবারে মুসলমানরা অনেক ভালো ভালো পদে যেমন-সম্রাটের উপদেষ্টা, প্রশাসক, নগরপতি, ডাক্তার ও হেকিম হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। আজ রাখাইন জনপদটি অনিরাপদ স্থান হিসেবে বিবেচিত হলেও রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে একটি প্রচলিত কথা চালু রয়েছে- সপ্তম শতাব্দীতে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া একটি জাহাজ থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন উপকূলে আশ্রয় নিয়ে বলেছিলেন, ‘আল্লাহর রহমে এবারের মতো বেঁচে গেলাম। ’

এই রহম থেকেই না কি রোহিঙ্গা শব্দটির উত্পত্তি। ইতিহাস থেকে আরও জানা যায় যে, ১৪৩০ থেকে ১৭৮৪ সাল পর্যন্ত ২২ হাজার বর্গমাইল আয়তনের রোহিঙ্গা ছিল স্বাধীন রাজ্য। মিয়ানমারের রাজা বোদাওফায়া এই রাজ্যটি দখল করার পর বৌদ্ধ আধিপত্য শুরু হয়। মিয়ানমারে ব্রিটিশ শাসন আমলে ব্রিটিশরাও একটি বড় ধরনের ভুল করেছিল। মিয়ানমারের ১৩৯টি জাতি গোষ্ঠীর তালিকা তারা প্রস্তুত করেছিলেন।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক এই যে তার মধ্যে তারা রোহিঙ্গাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেননি। আজ সুচি রোহিঙ্গাদের মিয়নমারের নাগরিক হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। কিন্তু এর প্রতিউত্তরে বলতে হয় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি সুচির পিতা অং সানের নেতৃত্বে মিয়নমার স্বাধীনতা অর্জন করার পরও রোহিঙ্গারা পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করেছে। আসলে সমস্যাটা শুরু হয় ১৯৬২ সালে। সে সময়ে জেনারেল নে উইন সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলে মিয়ানমারের যাত্রাপথ ভিন্নখাতে প্রবাহিত হতে শুরু করে। রোহিঙ্গাদের জন্য শুরু হয় দুর্ভোগের নতুন অধ্যায়।

সামরিক জান্তা তাদের বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করতে শুরু করে। তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। ধর্মীয়ভাবেও অত্যাচার করা হতে থাকে। নামাজ আদায়ে বাধা দেওয়া হয়। হত্যা-ধর্ষণ-লুণ্ঠন হয়ে ওঠে নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। সম্পত্তি জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়। বাধ্যতামূলক শ্রমে নিয়োজিত করা হতে থাকে। তাদের শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নেই।

বিয়ে করার অনুমতি নেই। সন্তান হলে নিবন্ধন নেই। জাতিগত পরিচয় প্রকাশ করতে দেওয়া হয় না। সংখ্যা যাতে না বাড়ে, সে জন্য আরোপিত হয় একের পর এক বিধিনিষেধ। আর বর্তমান রোহিঙ্গাদের অবস্থা সকলেরই জানা। রোহিঙ্গাদের পক্ষে কি বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হবে ?

ad

পাঠকের মতামত