মুশফিককে ফেলে চেনা পথেই সাব্বির
দুই ব্যাটসম্যানের চেষ্টায় লাঞ্চের আগেই ১১ রানের লিড নেয় বাংলাদেশ।
তবে লাঞ্চ থেকে ফিরেই ব্যক্তিগত খাতায় চার রান যোগ করে সাজঘরের পথ ধরেন সাব্বির।
দলীয় ৯৭ এবং ব্যক্তিগত ২৪ রানের মাথায় নাথান লায়নের বল এগিয়ে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন তিনি।
সাব্বিরের বিদায়ে ৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১০৩ রান। মুশফিক ২৪ ও মুমিনুল হক ৪ রানে ক্রিজে রয়েছেন। বাংলাদেশে লিড রয়েছে ৩১ রানের।
তবে সকালে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস ৩৭৭ রানে গুটিয়ে গেলেও টাইগারদের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা খুব ভালো হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসের ১১ রান তুলতেই সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। ব্যক্তিগত ৯ রান তুলতেই প্যাট কামিন্সের বলে রেনশ’র হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর ইমরুল কায়েসকে সঙ্গী করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তামিম ইকবাল। তবে দলীয় ৩২ রানের মাথায় এগিয়ে মারতে গিয়ে ওয়েডের স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ১২ রানে মাঠ ছাড়েন তামিম।
এরপর ফেরেন ইমরুল কায়েস। লায়নের বলে ম্যাক্সওয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১৫ রানে সাজঘরের পথ ধরেন ইমরুল। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন মাত্র ৩৭।
লায়নের তৃতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। মাত্র দুই রান করে ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
পরে চেনা পথেই ফেরেন নাসির হোসেন। মাত্র ৫ রানে ও’কিফের বলে ক্যাচ দিয়ে আসা যাওয়ার মিছিলে নাম লেখান তিনি।
এর আগে সকালে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হলে কোনো রান যোগ না করেই ইনিংস শেষ করে অস্ট্রেলিয়া।
সাকিব আল হাসান দিনের প্রথম ওভার করেন। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে ন্যাথান লিয়নকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান।
স্লিপে ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩৭৭ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। আর অজিরা লিড নেন ৭২ রানের।
এর আগে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ৩০৫ রানে অলআউট হন।