173939

হানিপ্রীত নার্সের ছদ্মবেশে পালাতে গিয়ে…

ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংহ-এর পালিত কন্যা হানিপ্রীতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। লুক আউট নোটিস জারির পর মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে তাকে ‘গ্রেপ্তার’ করা হয়। নার্সের ছদ্মবেশে তিনি দেশ থেকে পালাতে চেয়েছিলেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
যদিও হরিয়ানা পুলিশের তরফে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু স্বীকার করা হয়নি। এ বিষয়ে কিছু জানায়নি মুম্বাই পুলিশও।

কিন্তু একাধিক সর্বভারতীয় দৈনিকের দাবি, ধর্ষক গুরমিতের অভিযুক্ত শয্যাসঙ্গিনী হানিপ্রীতকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তিনি নেপালে পালাতে চাইছিলেন বলে জানতে পারেন পুলিশের গোয়েন্দারা।
ইতিমধ্যে গত কয়েক দিনে রাম রহিমের এই দত্তক কন্যা হানিপ্রীতকে নিয়ে প্রচুর বিতর্কিত তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, দুই নারীকে ধর্ষণের দোষে আদালত রাম রহিমকে শাস্তি দিচ্ছে শুনেই তাকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে হানিপ্রীত। পরে তার বিরুদ্ধে হরিয়ানা পুলিশ লুকআউট নোটিস জারি করে।

অন্যদিকে হানিপ্রীতকে আশ্রয় দেওয়ায় পঞ্চকুলার এক ওষুধ ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট-এর গোয়েন্দারা। গ্রেপ্তারের দিন ‘বাবা’ গুরমিত রাম রহিম সিংকে নিয়ে পালানোর ছকের তদন্ত করছে এই দলটি।
অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে ডেরা সাচা সৌদার সদস্য আদিত্য ইনসান ও সুরিন্দর দামন ইনসান। এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে শুধু হানিপ্রীতকে আশ্রয়ই দেওয়ার অভিযোগই নয়, রয়েছে অন্য অভিযোগও। গুরমিতকে গ্রেপ্তারের দিন বাবাকে নিয়ে পালানোর প্রস্তুতিতে হানিপ্রীতকে যাবতীয় সাহায্য করেছিলেন তিনি।

তদন্তকারী দলের ধারণা, ধর্ষক বাবাকে গ্রেপ্তারের পর যে ব্যাপক অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তাতে অস্ত্রশস্ত্র জুগিয়েছিল এই ওষুধ ব্যবসায়ীই। তাই পুলিশ জেরার জন্য তুলে নিয়ে গিয়েছে তাকে। সেইসঙ্গে ওই ব্যক্তির মোবাইল ফোনটিও পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে তদন্তকারীরা।
গতকাল সোমবার সিরসা থানায় ডেরা অনুগামীরা তাদের কাছে থাকা অস্ত্রশস্ত্র জমা দিয়েছেন। তবে অস্ত্রগুলি সবই লাইসেন্সপ্রাপ্ত বলে জানিয়েছে সিরসা থানার পুলিশ।

হাউস অফিসার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, দু’দিন আগে ডেরা অনুগামীদের অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নির্দেশ মেনে ডেরা অনুগামীরা অস্ত্রশস্ত্র জমা দিয়েছেন। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।

ad

পাঠকের মতামত