173293

অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা ভাবীকে হত্যা দুই দেবরের

দুই দেবরকে আটক করা হয়েছে, ইনসেটে ভাবীর লাশদুই দেবরকে আটক করা হয়েছে, ইনসেটে ভাবীর লাশ
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের দেবীসিংহপুর গ্রামের দেবরের অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় ফাতেমা আক্তার প্রকাশ পান্না (২০) নামের তিন মাসের এক অন্তঃসত্তা গৃহবধূকের হত্যার অভিযোগ ওঠেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। তবে, শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি, পান্না গলায় ওড়না পেঁছিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

সেনবাগ থানা পুলিশ শুক্রবার বিকেলে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুই দেবরকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে ওই গ্রামের মোস্তফা ভান্ডারীর বাড়িতে। আটককৃতরা হচ্ছেন : দেবর জিয়া উদ্দিন(২৩) ও আনোয়ার হোসেন বাহার (১৫)।

পান্না তিন মাসের অন্তসত্তা ছিলেন বলে তার মায়ের দাবি। শনিবার সকালে ওই গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তেন জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক দু’জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।ওই গুজবধুর মৃত্যুর খবর পেয়ে শতশত মানুষ ওই বাড়িতে ভিড় করতে দেখা গেছে।

জানাগেছে, বিগত ২০১৬ সালে আগষ্ট মাসে কোরবানির ঈদের দু’দিন আগে পাশ্চবর্তী বেগমগঞ্জ উপজেলার রফিকপুর গ্রামের ইলিয়াস মিয়ার কন্যা পান্নাকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে বিয়ে দেন সেনবাগের দেবিসিংহপুর গ্রামের মোস্তফা ভান্ডারির ছেলে কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে।

পান্নার মা নুর জাহান বেগম অভিযোগ করে জানান, তার মেয়েকে প্রায় সময় তার দেবর আনোয়ার হোসেন কুপ্রস্তাব দিতো। তার মাদরাসা-পড়ুয়া মেয়ে ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আগের দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে মারধরের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যা হুমকি দেয় বলে পান্না মোবাইল ফোনে বিষয়টি তাদেরকে অবহিত করেন পান্না।

এরপর শুক্রবার দুপুরে পান্না অসুস্থ বলে তাদের বাড়িতে খবর দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তারা এসে দেখেন, পান্নার মৃতদেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে। পান্নার মা আরো জানান, তার মেয়ে মাত্র ৫ দিন আগে তাদের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে এসেছে। তিনি আরো জানান, পান্নার দেবরদের চরিত্র পূর্বে থেকেই খারাপ। এর আগেও বড় তার ভাইয়ে স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কাজে প্রতিবাদ করায় তারা তাদের বড় ভাইকেও ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে ধামাচাপা দিয়ে দেন।

শনিবার দুপুরে যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা (ওসি-তদন্ত) অজিত মিত্র লাশ উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যূ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং আটক দুইজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে ময়না আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

ad

পাঠকের মতামত