173208

শাকিব খান নয় আমিই বাংলাদেশের সুপারষ্টার : বলিউড পরিচালককে নিরব

পরিচালক নিচ্ছেন আইনানুগ ব্যবস্থা, ভারতীয় আইনে মামলা কারার সিদ্ধান্ত

বিশেষ প্রতিবেদক
সিনেমা পাড়ায় গত বছরের আলোচিত খবরগুলোর মধ্যে অন্যতম, বাংলাদেশের অভিনেতা নিরবের বলিউডের ছবিতে অভিষেক। তারপর থেকে এই ছবি নিয়ে নিয়মিত খবর প্রকাশ হতে থাকে বাংলাদেশ ও ভারতীয় গণমাধ্যমে। শয়তান ছবিটির প্রথমে নাম ছিল বালা। ফয়সাল সাইফ পরিচালিত এ ছবিতে নিরবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন- তেলেগু, তামিল ও বলিউড নায়িকা কবিতা রাধে শ্যাম ও পাকিস্তানি শিল্পী মিরা খান। শোনা যাচ্ছে ১১ অক্টোবর ভারতে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। কিন্তু তার আগে জানা গেল চমকপ্রদ তথ্য।
ছবির পরিচালক ফয়সাল সাইফ তার ফেসবুকে লিখেছেন-

নিরব নিজেকে বাংলাদেশের সুপারষ্টার দাবি করেছিলেন। শাকিব খানের স্থান তার পরে বলেও  দাবি করেছেন নিরব।

পরিচালকের ফেসবুক পোষ্ট

ছবির কাজ শুরু হয়েছে গত বছর, এরমধ্যে গানও প্রকাশ হয়েছে ভিডিও দেখার সাইট ইউটিউবে। মুক্তির তারিখ ঘোষনা হয়েছে- তাহলে এতদিন পর কেন এমন কথা উঠবে। এ বিষয়ে পরিচালক লিখেছেন-
নিরবের সঙ্গে আমার পরিচয় হয় একজন কমন সাংবাদিক বন্ধুর মাধ্যমে। তখন আমি মোটামুটি বাজেটের একটি হিন্দি হরর মুভি নির্মাণ করার চিন্তা করছি। নিরব আমাকে বলল, তাকে ছবিতে নিতে। এ জন্য তিনি তার সম্প্রতি করা কাজগুলো ইউটিউবে আমাকে দেখালো। আমি কাজ দেখে খুব একটা উৎসাহ দেখালাম না। তখন নিরব আমার জন্য একটা প্রস্তাব নিয়ে আসলো। সে আমাকে বলল, আমি এই ছবি বাংলায় ডাবিং করে দেব নিজের টাকায়। ছবিটি বাংলাদেশে মুক্তিও পাইয়ে দেব, সেটাও নিজের টাকায়। বিনিময়ে লাভের ভাগ সমান সমান হবে।

বিষয়গুলো দুই দেশের (বাংলাদেশ ও ভারত) স্ট্যাম্প পেপারেই লিখে চুক্তি করা হয়। তারপর নিরব বাংলাদেশে চলে যায়। আমি তাকে ছবির চিত্রনাট্য পাঠাই। কিন্তু শুটিং শুরুর পর দেখলাম সে চিত্রনাট্য ছুয়েই দেখেনি। ছবিতে কাজ করার থেকে তার ছবি তুলতে ও সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) পোষ্ট করায় আগ্রহ বেশি। যেহেতু আমার বাজেট কম তাই খরচ কমিয়ে কাজ শেষ করা চিন্তা। কিন্তু শুটিং করতে এসে নিরব তার বন্ধু আবদুল মজিদ মিল্টনকে (এম টি মিডিয়ার কর্ণধার, বাংলাদেশে ছবিটির ডিষ্ট্রিবিউটর) শুটিং সেটে নিয়ে আসে।

এবং তাকে বলে তার (নিরব) জন্য আলাদা থাকা ও গাড়ির ব্যবস্থা করতে। যা আমাদের চুক্তি পত্রে ছিল না। কিন্তু তবুও নিরবের জন্য সেটা করা হয়েছ। কারণ নিরব আমাদের সবাইকে বুঝিয়েছে তিনি শাকিব খানের থেকেও বড় তারকা।

নিরব ও ফয়সাল সাইফ

শুটিং শেষ হওয়ার পর নিরবের চেহারা পরিবর্তন হয়। তিনি আর আমার সঙ্গে তেমন যোগাযোগ রাখছেন না। আমি ফোন দিলে ধরছেন না। চুক্তি অনুযায়ী তিনি কোন কথাই রাখছেন না। এমন অবস্থায় এই ছবি করতে এসে আমার প্রায় ৫০ লাখ রুপি ক্ষতি হয়েছে শুধু মাত্র নিরবের জন্য। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি নিরবের এ হেন কর্মকাণ্ডের জন্য বলিউড ফেডারেশনে নালিশ জানাবো। শুধু তাই নয় ভারতীয় আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি, বাংলাদেশের প্রতি আমার একটা সম্মাণ আছে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের প্রতি সম্মাণ আছে। কিন্তু নিরব যা করছে বা করেছে সেটা একদমই ঠিক নয়। আমি বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ে এ বিষয়ে জানাতে চাই।

শয়তান ছবির দৃশ্য

এই অবস্থায় আদৌ শয়তান মুক্তি পাবে কিনা সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

ad

পাঠকের মতামত