ফাইজলামির একটা সীমা আছে : প্রধান বিচারপতির উদ্দেশ্যে আমু
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের সমালোচনায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রের ক্ষমতা নিয়ে নিতে চান। এসব ফাইজলামির একটা সীমা আছে। এসব ঔদ্ধত্য দেখানোর একটা সীমা আছে।’
তিনি বলেন, ‘রায়ে এ দেশের বিরুদ্ধে যে কথা বলেছেন (প্রধান বিচারপতি) তা প্রত্যাখ্যান করতে হবে, এক্সপাঞ্জ করতে হবে; না হলে এ দেশের মানুষ এগিয়ে আসবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রায়ের পর্যবেক্ষণে নারী সংসদ সদস্যদের সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে যুব মহিলা লীগের মানববন্ধনে এ সব কথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ এ নেতা।
আমু বলেন, ‘সংসদের বিরুদ্ধে কথা বলার আগে আপনার ভাবা উচিত ছিল এ সংসদে রাষ্ট্রপতিই আপনাকে নিয়োগ দিয়েছেন। সেদিকে চিন্তা রেখে ভবিষ্যতে কথা বলবেন। আমরা কিন্তু আজকের সাংসদ নই, আমরা সত্তর সাল থেকে সাংসদ; পাকিস্তান আমল থেকে। আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সরকার গঠন করেছিলাম। সেই সরকার ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত করেছে। এ দেশ স্বাধীন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অন্য বিচারপতিদের মনে রাখা দরকার উনি (প্রধান বিচারপতি) যা চান তা হল ওই জুডিশিয়ালি, ওই বিচারকদের একমাত্র দেবতা। তিনি যা বলবেন সেটাই মানতে হবে। সব ক্ষমতা তার হাতে থাকবে, এর বাইরে কিছু থাকবে না। আজকে সেই ব্যবস্থা আমরা বিচার বিভাগের হাতে দিতে পারি না।’
শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার কোনো ঠুনকো দল নয়, কোনো সামরিক জান্তার পকেট থেকে এ দলের সৃষ্টি হয়নি। বিএনপি নেতারা শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করছেন। তারা তো করবেনই, তারা তো পাকিস্তানি প্রেমিক। সব শিয়ালের এক রা।’
তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে তুলনা করে প্রত্যক্ষ, পরোক্ষভাবে যে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন, তা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তাকে নানাভাবে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তাকে কোনোকিছুই দমিয়ে রাখতে পারে নাই। আজকে তার ওপর কথা বলার সাহস আপনাকে কে দিল? আজকে কী উদাহরণ দিয়ে ভীতি প্রদর্শন করছেন?’
আমু বলেন, ‘আজকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবার জন্য যারা মাঠে নেমেছে, আপনি (প্রধান বিচারপতি) ইতোমধ্যে নিশ্চয়ই তাদের চিনতে পেরেছেন। তারা আপনার বন্ধু নয়, শত্রু।’
যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতারের সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সংগঠনের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।