মুষ্টিযোদ্ধা টাইসন ফিউরি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন
ইসলাম ডেস্ক : মুষ্টিযোদ্ধা টাইসন ফিউরি মনে হয় কখনো বিতর্ককে এড়াতে চান না। প্রায়ই খেলা থেকে অবসর গ্রহণের ঘোষণা এবং নিয়মিত টুইটারে এলোমেলো পোস্টের মাধ্যমে তার ভক্ত-অনুরাগীদের বিভ্রান্তিতে রাখতেই মনে হয় তার পছন্দ।
কিন্তু তার সর্বশেষ পদক্ষেপকে অবশ্য সাহসী বলতেই হবে। ‘জিপসি সম্রাট’ খ্যাত সাবেক হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন টাইসন ফিউরি খ্রিস্টান ধর্ম থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তীব্র খ্রিস্টান অনুরাগী এই খেলোয়াড় চলতি সপ্তাহে এই টুইটে জানান, তিনি তার নাম পরিবর্তন করে ‘রিয়াজ টাইসন মুহাম্মদ’ রেখেছেন।
মাথায় টুপিসহ কাপ্তান পোশাক পরিহিত একটি ছবিও আপলোড করেন। এছাড়াও প্রার্থনারত অবস্থায় একটি ভিডিও আপলোড করেছেন তিনি। তবে এ ব্যাপারে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ড্রাগ টেস্ট পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর ২৮ বছর বয়সী টাইসন ফিউরির লাইসেন্স ব্রিটিশ বক্সিং কন্ট্রোল বোর্ড কর্তৃক স্থগিত করা হয়। এর পর থেকেই তিনি হতাশায় ভূগছেন। গত নভেম্বরে পোস্ট করা এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তিনি এবং তার দলের খেলোয়াড়রা খ্রিস্টান রীতিতে প্রার্থনা করতে।
ওই সময় এক পোস্টে ফিউরি লিখেন, ‘আমি বিশ্বের সর্বত্র ঐক্যের চেষ্টা করছি।’ তবে তিনি ওই পোস্ট তার টুইটার থেকে মুছে ফেলেছেন এবং তার প্রোফাইলও পরিবর্তন করেছেন। সেখানে তার নাম এখন টাইসন লিউকফিউরি।এর আগে ফিউরি বলেছিলেন, ‘ধর্ম কোনো কিছুই নয়’। ২০১৫ এর শেষের দিকে শারীরিক নিপীড়ন সম্পর্কে অনেক আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন।
ওই সময় তিনি বলেছিলেন: ‘আমরা একটি মন্দ পৃথিবীতে বাস করছি। এই সময়ে শয়তান খুবই শক্তিশালী এবং আমি বিশ্বাস করি শেষ সময় সন্নিকটে। বাইবেল আমাকে বলছে- শেষ সময় সন্নিকটে। বিশ্ব আমাকে বলছে শেষ সময় সন্নিকটে। অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই এই বিশ্ব শেষ হতে হচ্ছে।’
‘মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, ভূমিকম্প, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, এই সব কিছুই পৃথিবী ধ্বংসের লক্ষণ যা প্রায় ২,০০০ বছর আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল। সুতরাং এখন এসব সত্যে পরিণত হচ্ছে।’
‘শয়তানকে বাড়িতে ফিরাতে মাত্র তিনটি জিনিসের প্রয়োজন: তাদের একটি হলো দেশেকে আইনি বৈধতা দেয়া, গর্ভপাত এবং অন্যটি শারীরিক শোষণ। ইতোমধ্যে শেষ দুটিকে দেশ বৈধতা দেয়া হয়েছে।
ফিউরি তীব্র বিষণ্ণতায় ভুগছেন। গোড়ালির ইনজুরির কারণে ২৯ অক্টোবর ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত মুষ্টিযুদ্ধ শুরু আগে তাকে মেডিক্যালি অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। সূত্র: মেইল অনলাইন