172469

আয়নাবাজি এবার বিশ্ব ভ্রমণে

সারা দেশ মাতিয়ে এবার বিশ্ব সফরে যাচ্ছে চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত আলোচিত চলচ্চিত্র ‘আয়নাবাজি’। অতি শীঘ্রই আয়নাবাজি দেশের সিমানা পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ছবিটির পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী।

 

 

তিনি জানান, মুক্তির অনেক আগে থেকেই দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের আলোচনায় মুখরিত ছিল ‘আয়নাবাজি’। ফ্রান্সের কান চলচিত্র উৎসবে প্রথম প্রর্দশিত হয় আয়নাবাজি এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়টলে সাউথ এশিয়ান চলচিত্র উৎসবে বেস্ট নেরেটিভ ফিল্ম উপাধি পায়। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন নামি-দামি চলচ্চিত্র উৎসবে অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছে এই চলচিত্রটি।

 

 

বাংলাদেশে মুক্তির পরপরই চারদিকে ব্যাপক সাড়া ফেলে ‘আয়নাবাজি’। সপ্তম সপ্তাহে এসে এখনো স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার ও শ্যামলীতে হাউজফুল শো চলছে।

 

 

সেই সাফল্যে অনুপ্রাণীত হয়ে আয়নাবাজি বিশ্বভ্রমণে যাচ্ছে। এর শুভ সূচনা হচ্ছে শিল্পের দেশ ফ্রান্সের প্যারিস শহর থেকেই। প্যারিসের বিখ্যাত পাবলিসিস সিনেমা হলে আগামী ১৭ নভেম্বরে ছবিটির প্রযোজক জিয়াউদ্দিন আদিল, পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী ও কাহিনিকার গাউসুল আলম শাওনের উপস্থিতিতে ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রটির প্রথম শো প্রদর্শিত হবে। শুরুতেই পুরো সপ্তাহব্যাপী ‘আয়নাবাজি’র ১৪টি শো প্রদর্শিত হবে।

 

 

 

আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক, সান ফ্রান্সিসকো, অস্টিন, শিকাগো এবং ডালাস শহরে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ছবিটি। কানাডাতে ১৯ নভেম্বর টরেন্টো ও ক্যালগেরি শহরের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে ‘আয়নাবাজি’। ২৬ নভেম্বর থেকে অস্ট্রোলিয়ার সিডনী, কানবেরা, মেলবোর্ন, ব্রিস্টবেইন, এডিলেড, ও পার্থের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে।

 

 

 

ছবিটির ওয়ার্ল্ড ট্যুর প্রসঙ্গে আয়নাবাজির প্রযোজক জিয়াউদ্দিন আদিল বলেন, ‘মুক্তির ৭ সপ্তাহ পরেও দেশে ব্যবসাসফল যাচ্ছে আয়নাবাজি। এবার আমরা বিদেশে প্রবাসী দর্শকদের জন্য আয়নাবাজিকে বিশ্ব জুড়ে নিয়ে যেতে চাই। সিনেমা প্রদর্শনের প্রচলিত ধারায় বাংলাদেশি কোনো ছবি ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার বক্স অফিসে মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের ও সম্মানের।’

 

 

আয়নাবাজি ছবিটিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। তার সঙ্গে এখানে আরো রয়েছেন নাবিলা, পার্থ বড়ুয়া, লুৎফর রহমান জর্জ, হিরা চৌধুরী, শওকত ওসমান, গাওসুল আলম শাওন প্রমুখ।

 

 

 

চলচ্চিত্রটির মুল ভাবনা গাওসুল আলম শাওনের; চিত্রনাট্যও তিনি রচনা করেছেন অনম বিশ্বাসের সঙ্গে যৌথভাবে। নির্বাহী প্রযোজক ছিলেন এশা ইউসুফ।

ad

পাঠকের মতামত