172425

আরাে শক্তিশালী হচ্ছে সোয়াট টিম

নিউজ ডেস্ক: গোয়েন্দা পুলিশের সর্বাধুনিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টিম স্পেশাল উইপন্স অ্যান্ড ট্যাক্টিসকে (সোয়াট) আরো শক্তিশালী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে আরও ৫০ জনকে যুক্ত করা হচ্ছে এই টিমে। বর্তমানে সোয়াট টিমের জনশক্তি ৫০ জন রয়েছে। আরো ৫০ জন পুলিশ সদস্যকে উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে এর জনশক্তি ১০০ করা হচ্ছে। এটিকে পৃথক একটি ব্যাটালিয়ন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।1412495456

সূত্র জানায়, সোয়াটকে শক্তিশালী টিম গড়তে ইতোমধ্যেই ২০০টি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র (ক্রিস সুপার ভি সাবমেশিনগান) ও ৫০ হাজার রাউন্ড গুলি দেওয়া হয়েছে। এ অস্ত্রগুলো তুলনামূলক হালকা ও সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় তা জনবহুল জায়গায় অপারেশনের কাজে ব্যবহার করা হবে। আর এই অস্ত্রের সঙ্গে আমেরিকা থেকে কারবাইন রাইফেল, ব্লক সেভেনটিন পিস্তল এবং রাইফেলসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এসেছে। এছাড়া ১২ কোটি টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে দুটি সোয়াট ভ্যান (অত্যাধুনিক বুলেট প্রুফ ভ্যান)। এই সোয়াট ভ্যানের চাকা গুলিবিদ্ধ হলেও তা ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ অতিক্রম করতে পারবে নির্বিঘেœ। জিম্মি উদ্ধারসহ অপারেশন চালানোর কাজে এই গাড়ি ব্যবহার করা হবে।
সূত্রটি আরো জানায়, সোয়াট টিমের ৫০ জন সদস্য ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এন্টি টেররিজম অ্যাসিসট্যান্ট প্রোগ্রামের আওতায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। পাশাপাশি এই টিমের সদস্যরা দেশীয় প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। সোয়াটের ২০ সদস্যের একটি টিম সিলেটের স্কুল অব ইনফরমেটিভ অ্যান্ড ট্র্যাক্টিস ট্রেনিং নেন। সেখানে সেনাসদস্যরা তাদের হেলিকপ্টার রেপলিংবিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। আর হাইরাইজ ভবনে অপারেশন চালানো বা অগ্নিকা-ে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে এই ট্রেনিং কাজে লাগবে বলে জানিয়েছেন সোয়াটের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশে এই সোয়াট টিম গঠনের জন্য ২০০৮ সালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বাছাই করা ২৪ জনের একটি টিমকে বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য আমেরিকা পাঠানো হয়। সেখানে প্রশিক্ষণ শেষে আমেরিকার পক্ষ থেকে এই টিমের জন্য প্রায় ১২ কোটি টাকা মূল্যের অত্যাধুনিক অস্ত্র, গুলি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় মূল্যবান সরঞ্জাম দেওয়া হয়। দেশে ফেরার পর প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের নিয়ে ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্র“য়ারি সোয়াট নামে গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করা হয়। বাংলাদেশে ভয়ঙ্কর ঝুঁকিপূর্ণ অভিযান পরিচালনা করতেই এ টিম গঠন করা হয়। এরপর রাজধানীর বেশ কয়েকটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে জিম্মি উদ্ধার অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধারসহ জঙ্গিদের গ্রেফতার করে। শুরুতে এর সদস্য ২৪ জন থাকলেও এখন অর্ধশত সদস্য রয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত