১৯ পুলিশকে গ্রেফতার করেছে দুদক

pabna_21543_1470666780১৯ পুলিশ সদস্যসহ ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে উপসহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ সোমবার পাবনা থেকে তাদের গ্রেফতার করেন। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এরা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি নিয়েছে। বেশ কিছুদিন তদন্তের পর দুদক এদের আটক করল।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার চর জকনালা গ্রামের আবদুর রাজ্জাক মন্ডলের ছেলে আইয়ুব আলী (কনস্টেবল নং-২৯৮৫৫),  আদাচাকি গ্রামের কোরবান মোল্লার ছেলে কামরুল ইসলাম (কনস্টেবল নং-২৬৬৬), দেলোয়া কান্দি গ্রামের সানাউল্লাহ শেখের ছেলে আবদুল কুদ্দুস শেখ (কনস্টেবল নং-২৯৫৪০) চর মেঠুয়ান গ্রামের শহিদ আলীর ছেলে আলী আব্বাস (কনস্টেবল নং-২৯০৮৩), ব্রাহ্মণ গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ আলী (কনস্টেবল নং-২৯৯১৯), আদাচাকি গ্রামের আনাসার আলীর ছেলে সবুজ মিয়া (কনস্টেবল নং-২৬৩১), কাজিপুড়া গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে আবু হানিফ (কনস্টেবল নং-২৬৩০), আগনুকালী গ্রামের শুকুর শেখের ছেলে সাইফুল ইসলাম (কনস্টেবল নং-২০৫৯২), কোণাবাড়ি গ্রামের আবদুল বারির ছেলে ফেরদৌস (কনস্টেবল নং-১৫০৯১), চর রাইয়পুর গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (কনস্টেবল নং-১৪২৮০), ধুলগাগড়াখালি গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে হায়দার আলী (কনস্টেবল নং-২৯৪৬০), লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবদুস ছাত্তারের ছেলে বুদ্ধি মিয়া (কনস্টেবল নং-২৭৫৯), তেয়াশিয়া গ্রামের গোবিন্দ সরকারের ছেলে সুমন সরকার (কনস্টেবল নং-২৭৪৬), বিশ্বাসবাড়ি গ্রামের সুজাবত আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (কনস্টেবল নং-২৯৯৬৩), চরমেটুয়ানি গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে আবদুল আওয়াল (কনস্টেবল নং-২৪৬০৯), চর মধ্য মেটুয়ানি গ্রামের গনি সরকারের ছেলে আমিনুল ইসলাম (কনস্টেবল নং-২৩০৬২), দক্ষিণ বানিয়াগাতি গ্রামের রজব আলীর ছেলে আলামিন (কনস্টেবল নং-২৯২৭৪), বয়রাবাড়ি গ্রামের সানাউল্লাহ মন্ডলের ছেলে সোহেল রানা (কনস্টেবল নং-২০৭০২) ও বয়রাবাড়ি গ্রামের সোনাউল্লাহ মন্ডলের ছেলে সুমন আহমেদ (কনস্টেবল নং-২০৮৮১)।

দুদক সূত্র জানায়, প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া ও জাল সনদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশ বিভাগে শিক্ষানবিশ কনস্টেবল পদে যোগ দেন গ্রেপ্তারকৃতরা। ২০১২ সালে নিয়োগ পাওয়ার পর ওই ঘটনা প্রকাশ পেলে অনুসন্ধানে নামে দুদক। পরে ২০১৪ সালের নভেম্বরে সিরাজগঞ্জ থানায় ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে সংস্থাটি। মামলায় চাকরি নেওয়া ২০ জনের সঙ্গে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেওয়া ওই ২০ জনের বাবাকেও আসামি করা হয়।

সোমবার দুদক পাবনা সমন্বিত কার্যালয় সিরাজগঞ্জ থেকে এদের গ্রেফতার করে। এর আগে তাদেরকে পুলিশ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

ad

পাঠকের মতামত