যুক্তরাষ্ট্রকে দেবে না, তাই বিদেশে ওষুধ রফতানি নিষিদ্ধ করল কানাডা
চিকিৎসকরা রোগীকে সেবন বা গ্রহণের জন্য পরামর্শ দেন এমন কিছু ওষুধ রফতানি নিষিদ্ধ করেছে কানাডা। রফতানির কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট তৈরি হতে পারে এমন শঙ্কায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
মার্কিনদের জন্য স্বল্পমূলে ওষুধ পাওয়া নিশ্চিত করতে কানাডা থেকে আমদানির পরিকল্পনা হাতে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশে ওষুধ রফতানি বন্ধ করলো অটোয়া।
যদিও কিছু দেশ থেকে কানাডায় ওষুধের দাম বেশি। তবে তা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কম।
কানাডার বেশ কয়েকটি ওষুধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সতর্ক করেছে যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তাদের দেশে সংকট তৈরি হবে।
এএফপি নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, করোনা মহামারির কারণে কিছু ওষুধের চাহিদা ইতোমধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে।
কানাডার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, দেশটির ওষুধের চাহিদার ৬৮ শতাংশ আমদানির ওপর নির্ভর করে। তারপরও তারা রফতানি করে সংকট তৈরি করতে চাচ্ছে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, কর্তৃপক্ষ জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে মুজদ করা ওষুধের পরিমাণ এবং সম্ভাব্য সংকট সম্পর্কে জানাতে হবে। পাশপাশি গুরুতর সম্ভাব্য স্বাস্থঝুঁকির বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
জুলাইতে এক নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প। এতে বৈধ আমদানিকারকদের কানাডা থেকে কমমূল্যে ওষুধ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়।
এক মাস পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, অন্য রাষ্ট্রকে সহায়তা করতে পারলে তিনি খুশি হতেন। তবে তার কাছে কানাডার নাগরিকদের প্রয়োজন এবং সুরক্ষা অগ্রাধিকার বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এবং পুরানো কিছু ওষুধের অধিক দামের কারণে ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো ট্রাম্পসহ মার্কিন রাজনৈতিক, ইনসুরেন্স কোম্পানি এবং রোগীদের বিভিন্ন সংগঠনের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।
এর আগে মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওষুধের দাম কমানোর জন্য সম্ভাব্য আমদানির কথা বলেছিলেন।