371961

সম্ভাব্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কায় খাদ্য মজুতের ঘোষণা সুইডেনের

রুশ বাহিনী যে গতিতে ইউক্রেনে অগ্রসর হচ্ছে, তা অব্যাহত থাকলে চলতি ২০২৫ সাল বা আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সুইডেন। সম্ভাব্য সেই যুদ্ধের সময় যেন নাগরিকদের ভোগান্তি না হয়, সেজন্য আগে থেকেই খাদ্য মজুতের ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের এই দেশটি।

সুইডেনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা বোর্ড অব এগ্রিকালচার বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, “বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির যে অবস্থা, তাতে যে কোনো সময় পরিস্থিতি গুরুতর রূপ নিতে পারে, এমনকি বিশ্বযুদ্ধও শুরু হয়ে যেতে পারে। এ কারণে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শস্যসহ অন্যান্য খাদ্য উপাদান মজুতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।”

সুইডেনের সরকার এই প্রকল্পের জন্য ৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার বরাদ্দ দিয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আগামী ২০২৬ সাল থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি খাদ্য গুদাম তৈরি করা হবে। সম্ভাব্য যুদ্ধের সময় প্রত্যেক নাগরিক যেন প্রতিদিন ন্যূনতম ৩ হাজার ক্যালরি পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন— সেই হিসেব অনুযায়ী খাদ্যদ্রব্য মজুত করা হবে গুদামগুলোতে।”

সুইডেনের প্রতিবেশী দেশ ফিনল্যান্ড জানিয়েছে, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কীভাবে দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে যেতে হয়, সে সম্পর্কে আগামী মাস থেকে নাগরিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করবে সরকার।

এদিকে এই সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের এক কর্মকর্তা রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি-কে জানিয়েছেন, “পশ্চিমা বিশ্ব সব রুশবিরোধী হিস্টিরিয়ায় ভোগে। খাদ্য মজুত ও নাগরিকদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যাপারটিও সেই হিস্টিরিয়ার অংশ। রাশিয়ার কারণে কেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধবে?”

সুইডেন ও ফিনল্যান্ড— দুই দেশের সঙ্গেই সীমান্ত আছে রাশিয়ার। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিয়েছে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। চলতি মাসে মস্কোতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এর বলেছিলেন, “সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত খুবই বোকামিপূর্ণ। এই সিদ্ধান্তের ফলে তাদের নিজেদের নিরাপত্তা বাড়েনি, বরং এই অঞ্চলের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অবমূল্যায়িত হয়েছে। এর কোনো প্রয়োজন ছিলো না।” সূত্র: আরটি

 

ad

পাঠকের মতামত