
চট্টগ্রাম সিইপিজেডে ভয়াবহ আগুন: ৮ ঘণ্টা পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, ছড়াচ্ছে পাশের ভবনেও
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) একটি কারখানায় দুপুরে লাগা আগুন ৮ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আগুনের দাপট, ঘটছে একের পর এক বিস্ফোরণ। আগুনের তীব্রতায় ভবনের কয়েকটি দেয়াল ভেঙে পড়েছে। এরমধ্যে আগুন পাশের একটি তিনতলা ভবনেও ছড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে নয়তলা ভবনটিতে আগুন লাগে। শেষ খবর পর্যন্ত রাত ১০টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা। শুরুতে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট কাজ শুরু করলেও বর্তমানে নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী মিলিয়ে প্রায় ২৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। শুধু তাই, আগুন নেভাতে একটি রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সিইপিজেড সূত্র জানায়, ভবনটিতে মোট ৭০০ শ্রমিক কাজ করেন। তবে তাদের কেউ আহত হননি বলে জানান চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক আবদুস সুবাহান।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগুনের তাপে ভবনের উপরের দুটি তলা ও দেয়াল ধসে পড়েছে। আগুন উপরের দিক থেকে নিচের ফ্লোরগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে, বর্তমানে নিচতলাতেও আগুন জ্বলছে। আগুনের তীব্রতা এত বেশি যে কারখানাটি থেকে ৩০০ গজ দূরেও তাপ অনুভূত হচ্ছে। ভবনের ভেতর থেকে কিছুক্ষণ পরপর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। আগুনের শিখা ভবনের ছাদ পেরিয়ে ১০০ ফুট ওপর পর্যন্ত উঠছে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে আশপাশের পুরো এলাকা।
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ভবনের ভেতরে দাহ্য পদার্থ বেশি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আমাদের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছেন। আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হলেও পানির চাপ কম থাকায় কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে।
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকার নির্বাহী পরিচালক আবদুস সুবহান বলেন, আশপাশের কোনো কারখানা খোলা রাখা হয়নি। আশপাশের কারখানায় যাতে আগুন না লাগে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামির হোসেন বলেন, ইপিজেডের ভেতরে একটি কারখানায় আগুন লেগেছে। সেখানে মেডিকেল একসেসরিজ তৈরি হতো। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো যাবে।