364409

২৭ দেশের ক্লায়েন্ট হারানোর শঙ্কা দ্রুত ইন্টারনেট সচল না হলে

ডেস্ক রিপোর্ট।। টানা পাঁচদিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় রংপুরে ফ্রিল্যান্সিংয়ে যুক্ত অন্তত ৫০ হাজার কর্মী ক্লায়েন্ট হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, দ্রুত ইন্টারনেট সচল করা না গেলে ২৭টি দেশের ক্লায়েন্ট হারাতে হবে, যার প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে। সেকারণে বিকল্প ইন্টারনেট সংযোগের দাবি জানান উদ্যোক্তারা।

গ্রাফিক্স আইটি বিডি নামে রংপুরের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ১৫০ জন। তবে চিরচেনা কর্মযজ্ঞ নেই, নেই ফ্রিল্যান্সারদের ব্যস্ততা। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্ববাজারে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে থাকে। বৃহস্পতিবার থেকে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারছেন না। ফলে ক্লায়েন্টরা আদৌ তাদের সঙ্গে আর কাজ করবেন কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

ছোট বড় মিলিয়ে রংপুরে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০টি। যেখানে কাজ করে থাকেন প্রায় ৫ হাজার কর্মী। এছাড়া নিজেরাই ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত এমন সংখ্যা বিভাগে কমপক্ষে ৫০ হাজার।

গ্রাফিক্স আইটি বিডির এক কর্মী বলেন, ‘অফিসে বসে বাইরের দেশের সঙ্গে কানেক্ট হয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে কাজ নিয়ে আসি। সেই কাজ বাংলাদেশে বসে কমপ্লিট করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাদের সার্ভারে আপলোড করে দেই।’

অন্য আরেক কর্মী বলেন, ‘যেহেতু বাইরের কোম্পানি। তাদের একটি নির্দিষ্ট ডেটলাইন থাকে। এর মধ্যে কাজগুলো আমাদের করে দিতে হয়। ইন্টারনেট না থাকার কারণে আমরা সময়মতো করে দিতে পারছি না।’

আইটি প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ গতিশীল রাখতে এই খাত অনেক বড় ভূমিকা রাখছে। তবে এই খাত পুরোপুরি ইন্টারনেট নির্ভর হওয়ায় গেল ৫ দিনে অনেক বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে। যার প্রভাব পড়বে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে।

রংপুরে গ্রাফিক্স আইটি বিডির এইচআর হেড এসএম নুরুল আমিন বলেন, ‘এখন বায়াররা কোন পজিশনে আছে আমরা জানি না। তারা আদৌ আমাদের সঙ্গে কন্টিনিউ করবে কিনা সেটাও জানি না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। আমরা যদি যোগাযোগ করতে না পারি তাহলে আমরা বায়ারগুলো হারাবো।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্রুত ইন্টারনেট সেবা চালু করা না গেলে দেশের ফ্রিল্যান্সিং বাজার চলে যাবে ভারত, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনামসহ অন্য দেশগুলোতে।

রংপুরে গ্রাফিক্স আইটি বিডির সিইও এবি রহিম বলেন, ‘তারা খুবই সেনসিটিভ। আমরা তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা যদি সেবা দিতে না পারি, তারা অন্য কোনো দেশ হায়ার করবে। কারণ তাদের প্রতিনিয়ত ডেটলাইন থাকে। টুয়েলভ আওয়ার, সিক্স আওয়ার, টুয়েন্টি ফোর আওয়ার। এ কারণে আমরা যারা সার্ভিস সেল করি, এই সার্ভিস সেল এজেন্সিগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হবে।’

গেল ৫ বছরে সরকারের বিভিন্ন কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে শিক্ষিত বেকার যুবকরা সব থেকে বেশি যুক্ত হয়েছে ফ্রিল্যান্সিং পেশায়। উৎস: সময়টিভি

ad

পাঠকের মতামত