364348

আরও কিছুটা সময় লাগবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে : সেনাপ্রধান

নিউজ ডেস্ক।। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েকদিনের সহিংসতায় অবর্ণনীয় ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে এবং আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সোমবার (২২ জুলাই) সকালে রাজধানীর উত্তরায় নাশকতাকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় সেনা সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সার্বিক বিষয় সম্পর্কে অবগত হয়ে পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।

সহিংসতাকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘সহিংসতা করে কোনো লাভ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের সম্পদের ক্ষতি সাধিত হয়েছে, এটা আসলে অবর্ণনীয়। আর এ ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য কতদিন সময় লাগবে সেটা আমি জানি না। কী পরিমাণ অর্থ যাবে সেটাও আমি বলতে পারবো না। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে, অসাধারণ ক্ষতি হয়েছে। এই সম্পদ কারও ব্যক্তিগত না, এই সম্পদ জনগণের সম্পদ।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আমাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। আমি মনে করি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের মধ্যে এসেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আমার ধারণা আরও কিছু সময় দিতে হবে।’

এদিকে, দেশজুড়ে চলমান কারফিউয়ের তৃতীয় দিনে রাজধানীর প্রগতি সরণি, মালিবাগসহ বেশ কিছু মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

সড়কে সকাল থেকে মানুষজনের চলাচল বাড়লেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সংঘাত-বিক্ষোভে স.হিংস হয়ে উঠেছিল রাজধানীর কিছু এলাকা। ধীরে ধীরে সেখানে ফুটে উঠছে ক্ষতচিহ্ন।

রামপুরায় বিটিভির কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে সেখানে শুধুই ধ্বংসচিহ্ন। ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, যাত্রাবাড়ী ও আশপাশের সড়কে এখনও যান চলাচল না করায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। লোড-আনলোড বন্ধ থাকায় ট্রাকেই পচে নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার মাছ। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। স.হিংসতাকারীদের তাণ্ডবলীলার চিহ্ন মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশনজুড়েও। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ভা.ঙচুর করা যন্ত্রাংশ। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আ.ইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।

এছাড়া রাজধানীর বাইরেও বিভিন্ন জেলায় তাণ্ডব চালায় নাশকতাকারীরা। বেরিয়ে আসছে একের পর এক ধ্বংসযজ্ঞ। মাদারীপুরে পুড়িয়ে দেয়া হয় পুলিশ ফাঁড়ি, যানবাহন, ফিলিংস্টেশন। হামলার হাত থেকে রক্ষা পায়নি খোদ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ও। এছাড়াও বিভিন্ন জেলায় চালানো হয়েছে হামলা ও ভা.ঙচুর। উৎস: সময়টিভি।

ad

পাঠকের মতামত