364345

আমি ক্ষমতার জন্য কাজ করছি না, আমার কাছে ক্ষমতা কিছু না: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক।। গত চার সরকারে আওয়ামী লীগ ধারবাহিকভাবে থাকার কারণে দেশএগিয়ে গেছে এবং ভাবমূর্তির উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২২ জুলাই) নিজ কার্যালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এমন দাবি করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ক্ষমতার জন্য কাজ করছি না, আমার কাছে ক্ষমতা কিছু না। আমি ক্ষমতার মুখাপেক্ষী না। বাংলাদেশের জন্য কাজ করছি। দেশের ভাবমূর্তি যাতে উন্নত হয় সে জন্য কাজ করে যাচ্ছি। দেশের অবস্থা স্বাভাবিক করে আবারও ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবো।

ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর জন্য কাজ করছেন জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, কোভিডসহ বিভিন্ন দুর্যোগ, ২০১৩ সাল থেকে জ্বালাও-পোড়াওসহ বিভিন্ন সংকটে আমার সরকার ব্যবসায়ীদের পাশে ছিল। আমার দল যারা করেন না সে সব ব্যবসায়ীরাও সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। কারণ আমরা ব্যবসায়ীদের কাজের পরিবেশ করে দিতে কোনো একপাক্ষিক আচরণ করিনি।

তিনি বলেন, আমাদের সময়ের কাজ করতে ব্যবসায়ীদের হাওয়া ভবনে কোনো হাওয়া দিতে হয়নি। আমরা ব্যবসায়ীদের কাজের সুযোগ করে দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশকে যখন আমরা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছি তখন দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৩, ১৪, ১৫ পর এবার আবারও হামলা চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। এর আগে গাড়ি জ্বালিয়ে দিলেও তারা এবার আমাদের সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ বাধাগ্রস্ত করতে তারা ডাটা সেন্টারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালিয়ে জ্বালাও-পোড়াও করেছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী সরকারি স্থাপনায় হামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। পাশাপাশি দু.র্বৃত্তদের হা.মলায় হতাহতের তথ্যও তুলে ধরেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কারফিউ দিতে চাইনি। আমাদের সন্তান ও ছাত্ররা যখন মাঠে ছিল তখন তাদের ঢাল করে জ্বালাও-পোড়াও চালানো হয়। তবে ছাত্ররা যখন ঘোষণা দিলো এসব জ্বালাও-পোড়াও এবং সংঘাত তারা করেনি, তখন আমরা আমি নামিয়েছি। কারফিউ জারি করেছি।

জানমালের নিরাপত্তায় বাধ্য হয়ে কারফিউ দেয়া হয়েছে: জানমালের নিরাপত্তায় বাধ্য হয়ে কারফিউ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থী যখন ঘোষণা দিলো এসব জ্বালাও-পোড়াও এবং সংঘাত তারা করেনি, তখন সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। কারফিউ জারি করা হয়।

সোমবার (২২জুলাই) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিএনপি জামায়াত-শিবির সহিংসতা চালিয়েছে। তাই জানমালের রক্ষায় কারফিউ দেয়া হয়েছে।’ শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন নিয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, তাদের চাহিদা মতো আদালত রায় দিয়েছেন, তারপরও ধ্বংসযজ্ঞ কেন?

বার বার আ.ঘাত আসার পরও দেশের জন্য কাজ করেছি-এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের সুযোগ সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শ বিবেচনা করেনি। দেশে ব্যবসার পরিবেশ তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।’

ছাত্রদের আন্দোলনকে ঘিরে শিবির-জামায়াত জঙ্গিদের মতো জ্বালাও-পোড়াও করেছে এমন অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী আবারও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির কারণে ২০১৮ সালে পরিপত্র জারি করে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করেছিলাম। পরে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পক্ষ থেকে রিটের কারণে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিলেন। সেটাও আইনগতভাবে মোকাবিলা করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু সেই সময় পাওয়া গেল না। এর আগেই যে সব কর্মকাণ্ড হয়েছে তা দুঃখজনক। এ আন্দোলন ঘিরে তারা তাণ্ডব চালিয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশকে যখন আমরা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছি, তখন দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৩, ১৪, ১৫ পর এবার আবারও হামলা চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। এর আগে গাড়ি জ্বালিয়ে দিলেও তারা এবার আমাদের সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ বাধাগ্রস্ত করতে তারা ডাটা সেন্টারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালিয়ে জ্বালাও-পোড়াও করেছে।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী সরকারি স্থাপনায় হামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। পাশাপাশি দুর্বৃত্তদের হামলায় হতাহতের তথ্যও তুলে ধরেন তিনি। উৎস: সময়টিভি

ad

পাঠকের মতামত