358329

শিশুকে ধর্ষণ করল ‘নানা’, কুপিয়ে টুকরা টুকরা করার হুমকি

নিউজ ডেস্ক।। ঢাকার কেরানীগঞ্জে ফুঁসলিয়ে ঘরে নিয়ে ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছেন প্রতিবেশী ‘নানা’। ধর্ষণের কথা বলে দিলে শিশুকে কুপিয়ে টুকরা টুকরা করার হুমকিও দেন তিনি।

এ ঘটনায় ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগে রিকশাচালক আনোয়ার হোসেনকে (৫০) গ্রেফতার করেছে।

রোববার রাতে বরিশুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ধর্ষণের শিকার শিশুটি আনোয়ার হোসেনকে ‘নানা’ বলে সম্বোধন করত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আনোয়ার ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে শিশুটির পিতা খেয়া নৌকার মাঝি রাজ্জাক হোসেন।

সোমবার দুপুরে আনোয়ারকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার কথা রয়েছে।

ধর্ষণের শিকার শিশুটির চাচা জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়। বরিশুর এলাকায় একটি রুম ভাড়া নিয়ে তার ভাই, ভাবি ও ৮ বছরের ভাতিজি থাকেন। একই বাড়ির পাশের একটি ঘর ভাড়া নিয়ে একা থাকেন আনোয়ার। ভাবি অন্যের বাসায় ঝিয়ের কাজ করেন। আর বড় খেয়া নৌকা চালিয়ে সংসার নির্বাহ করেন ভাই।

তিনি জানান, গত ১৮ মে তারা দুজনই কাজের উদ্দেশ্যে বাসার বাইরে ছিলেন। তাদের একমাত্র কন্যা বাসায় ছিল। পিতা-মাতার অবর্তমানে দুপুরের দিকে শিশুটিকে আনোয়ার ফুঁসলিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর কাউকে এ কথা বললে কুপিয়ে টুকরো টুকরো করার হুমকি দেয়।

তিনি বলেন, প্রথমে আমরা ধর্ষণের বিষয়টি বুঝতে পারিনি। আমার স্ত্রী (শিশুটির চাচি) ওকে গোসল করাতে নিয়ে গেলে বিষয়টি বুঝতে পারে। এ সময় ও অনেক কান্না করছিল আর কাঁপছিল। পরে খবর পেয়ে আমরা গিয়ে ওকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। তারা ওকে সরকারি হাসপাতালে নিতে বলে।

শিশুটির চাচা বলেন, এরপর মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাই। তারাও পুলিশে জানানোর কথা বলে। আমরা গরিব মানুষ, কীভাবে পুলিশে জানাব বুঝতে পারছিলাম না। শেষে একজনের পরামর্শে রোববার ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানাই। এরপর পুলিশ আনোয়ারকে গ্রেফতার করে।

কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির বলেন, ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা অভিযান চালিয়ে আনোয়ারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের ফলে শিশুটি মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। চিকিৎসার জন্য ভিকটিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। উৎস: যুগান্তর।

 

ad

পাঠকের মতামত