
বিয়ে করে ডিভোর্স দেওয়াই তার কাজ!
নিউজ ডেস্ক।। পাবনায় একাধিক নারী ধর্ষণের অভিযোগে আনিসুজ্জামান সেতু নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে ঈশ্বরদী থানায় সোপর্দ করেছে র্যাব-১২। সেতু সাঁথিয়া পৌরসভার বোয়াইলমারী গ্রামের আকরামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে দুটি বিয়ে বিচ্ছেদসহ একাধিক মেয়েকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর অভিযোগে জানা গেছে, ঈশ্বরদীর এক মেয়ের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় সেতুর। সেই সূত্র ধরে গত মার্চে সেতু বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই মেয়েকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে বিষয়টি ওই মেয়েটির পরিবার জানতে পেরে সেতুর পরিবারের নিকট বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে তারা বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে ফিরিয়ে দেয়। শেষে উপায়ন্তর না দেখে ভুক্তভোগী ওই মেয়ে বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
অপরদিকে পাবনা সদরের এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে ৫ লাখ টাকা নেন সেতু। টাকা চাইতে গেলে খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে বলে পাবনা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, এর আগে পর পর দুজন স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছেন সেতু। পাবনা সদর থেকে আরও একজন মেয়ে এসেছিল সেতুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে। সেতুর কাজই হচ্ছে বিয়ে করে কিছুদিন রেখে পরে ডিভোর্স দেওয়া ও মেয়েদের সঙ্গে পরিচয় করে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করা। সেতুকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।