353395

র‌্যাবের তদন্তে সামিকে নিয়ে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিউজ ডেস্ক।। কাতারভিত্তিক বিতর্কিত সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনের মাস্টারমাইন্ড সামিউল আহমেদ খান ওরফে সামিকে নিয়ে র‌্যাবের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।

র‌্যাবের তদন্তে বেরিয়ে আসে- ‘আই এম বাংলাদেশি’ নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে নানা ধরনের কুৎসা রটানো পোস্ট দেওয়া হয়েছে। পেজটি পর্যালোচনা করে র‌্যাব জানতে পারে, এর অ্যাডমিন হলেন ‘সায়ের জুলকারনাইন’। কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ শুমাখার, স্বপন ওয়াহিদ ও লেখক মুস্তাক আহমেদ পেজ এডিটর হিসেবে পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে দীর্ঘদিন এটি পরিচালনা করে আসছেন।

র‌্যাব বলছে, ষড়যন্ত্রের ওই চক্রে ছিলেন নেত্র নিউজের সাংবাদিক তাসনীম খলিল, সাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীন, রাষ্ট্র চিন্তার কর্মী দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া ও মিনহাজ মান্নান। সাইবার জগতে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গত বছরই সায়ের জুলকারনাইনসহ ১১ জনকে আসামি করে রমনা থানায় মামলা করেছিল র‌্যাব। তবে প্রকৃত পরিচয় ও নাম-ঠিকানা বের করতে না পারায় এডমিন জুলকারনাইনসহ আটজনকে অব্যাহতি দিয়ে ওই মামলায় চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেওয়া হয়। এই চার্জশিটে তিনজনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন-আহমেদ কবির কিশোর, মুস্তাক আহমেদ ও দিদারুল ভূঁইয়া।

পুলিশ তদন্তে পেজটির অ্যাডমিনের পরিচয় বের করতে না পারলেও সম্প্রতি আল জাজিরায় ওই প্রতিবেদন প্রচারের পর বেরিয়ে আসে- ‘আই এম বাংলাদেশি’ পেজের অ্যাডমিন সায়ের জুলকারনাইনের প্রকৃত নাম সামিউল আহমেদ খান ওরফে সামি। বহু বছর ধরেই তিনি একজন বহুরূপী প্রতারক। র‌্যাব কর্মকর্তা পরিচয়ে আর্থিক প্রতারণায় জড়িত থাকার ঘটনায় ২০০৬ সালে গ্রেফতারও হন তিনি। বর্তমানে সামি হাঙ্গেরিতে বসবাস করছেন।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে র‌্যাবের সাইবার টিমের তীক্ষষ্ট নজর থাকে। কেউ গুজব ও কুৎসা রটিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্টা করলে র‌্যাব তাদের আইনি ব্যবস্থার আওতায় নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। গত বছর ‘আই এম বাংলাদেশি’ পেজ থেকে বেশ কিছু অপকর্মের ঘটনা ঘটছে- এটা জানার পর মামলা করা হয়। আগামীতেও ভার্চুয়াল জগতের যে কোনো বেআইনি কাজ রুখে দেবে র‌্যাবের সাইবার ওয়ার্ল্ড।

র‌্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, ‘আই এম বাংলাদেশি’ ফেসবুক পেজের অন্যতম এডিটর ‘আমি কিশোর’। রমনা থানাধীন ১২২/১ নম্বর বাসার চতুর্থ তলার সিঁড়ির পূর্ব পাশের ফ্ল্যাটে বসে নানা ষড়যন্ত্র করছিলেন তিনি। গত বছরের ৫ মে সেখানে অভিযান চালিয়ে র‌্যাব ‘আমি কিশোর’ নামে এডিটরকে গ্রেফতার করে। এরপর জানা যায়, তার প্রকৃত নাম আহমেদ কবির কিশোর। এরপর তার হেফাজত থেকে মোবাইল ফোনসেট, কম্পিউটার ও বিভিন্ন ধরনের ২০০ সিডি জব্দ করা হয়। পরে তার ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটস অ্যাপের চ্যাটিং লিস্ট পরীক্ষা করে তাসনীম খলিল, সায়ের জুলকারনাইনসহ (সামি) কয়েকজনের ষড়যন্ত্রের তথ্য পাওয়া যায়। মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও তারা অপপ্রচার চালাচ্ছিলেন। সামিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে র‌্যাব যে মামলা করেছিল, সেখানে সংযুক্তি হিসেবে ৬০ পাতার স্ট্ক্রিনশটও দেওয়া হয়েছিল। উৎস: সময়টিভি।

ad

পাঠকের মতামত