দেশে ফিরে মানুষের সেবা করতে এসে লাশ হলেন চিকিৎসক
সৌদি আরবের মদিনার নামকরা আল ওলা হাসপাতালে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর সুনামের সঙ্গে চাকরি করে ভেবেছিলেন দেশের মানুষের সেবা করবেন। ২০১৭ সালের শেষের দিকে দেশে ফিরে নিজ এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন ‘বেবি কেয়ার ক্লিনিক’। অসহায় গরিব শিশুদের বিনামূল্যে পরামর্শের পাশাপাশি ওষুধ ও অপারেশন করাতেন তিনি।
কিন্তু তার উদ্যোগ থেমে গেল দু’বছেরই। শুক্রবার সকালে সীতাকুন্ডে মহাসড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হলো শিশু বিশেষজ্ঞ ছোট কুমিরায় অবস্থিত ‘বেবি কেয়ার ক্লিনিক’র মালিক ডা. শাহ আলমের (৫৫)। নিজ এলাকায়ও চিকিৎসায় বেশ সুনাম কুড়িয়েছিলেন তিনি। তাকে হত্যার ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী। মো. শাহ আলম (৫৮)। তিনি ছোট কুমিরা এলাকার মৃত আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম শেখ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশটি উদ্ধার করেছে। সিআইডি ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছে। রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। কুমিরার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোরশেদ চৌধুরী লাশটি ডা. শাহ আলমের বলে নিশ্চিত করেন।
ডা. শাহ আলমের ভাগনি ঢাকায় অবস্থিত সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের মানব সম্পদ বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক শারমিন সিদ্দিকী জানান, ক্লিনিক শেষ করে প্রতি রাতে চট্রগ্রাম শহরের বাসায় ফিরতেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত বাসায় না ফেরায় তার স্ত্রীকে ফোন করি। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মামার লাশের ছবি ছড়িয়ে পড়লে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হই।
শনিবার রাতে এ ঘটনায় থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী ওমরানা আজমেরি সিদ্দিকা কান্তা। তবে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, যা বলার পুলিশকে বলেছি।
সীতাকুন্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক তদন্ত শামীম শেখ বলেন, ‘ঘটনার আলামতে এটা হত্যা হিসেবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি’। তিনি বলেন, এ হত্যায় মামলা হয়েছে। আমরা একে গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তদন্তে যার নাম আসবে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।