এই দেশগুলিতে প্রকাশ্যেই নারী পুরুষ মেতে ওঠে যৌনতায়
যৌনতা। শব্দের মধ্যেই গোপনীয়তা অন্তর্নিহিত। চার দেওয়ার মধ্যেই যেন নিজের আসল রূপ ধারণ করতে সক্ষম এই যৌনতা। মিলন যে মানুষকে তৃপ্তি দেয়, এ কথা অনস্বীকার্য। আর তাই সেই যৌনতাকে প্রকাশ্যেই সেলিব্রেট করতে চান অনেকে। রাগ, বিদ্বেষ ভুলে ভালবাসা, যৌনতাকেই উৎসব হিসেবে পালন করার পক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। আর তাই আক্ষরিক অর্থেই এমন বেশ কয়েকটি দেশ রয়েছে, যেখানে সেলিব্রেট করা হয় যৌনতাকে। জমকালো উৎসবের মধ্যে দিয়েই। জানেন কোন কোন দেশে কী ধরনের সেক্স
ফেস্টিভ্যাল হয়ে থাকে?
কিংকি কোপেনহেগেন- ডেনমার্ক:
কোপেনহেগেনের এই সেক্স ফেস্টিভ্যালে রক্ষণশীল যৌনতার কোনও স্থান নেই। এখানে সবটাই উদ্যাম, বন্য। প্রতিটি কোণে শোনা যায় চাবুকের শব্দ। এখানে পার্টনারের উপর আঘাত করেই যৌনতার খিদে মেটে।
সেক্সপো- দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া:
এই উৎসবের মূল লক্ষ্য যৌনতার গণ্ডিকে দীর্ঘায়িত করা। সঙ্গম নিয়ে মানুষের সংকীর্ণ চিন্তা-ভাবনাকে সরিয়ে দেওয়া। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পুরুষ ও মহিলা মডেল ও ডান্সাররা অংশ নেন এই উৎসবে। চলে ইরোটিক নাচ-গান। বাদ যায় না পর্নোগ্রাফি প্রদর্শনও।
কুটেমারভি সেক্স ফেস্টিভ্যাল- ফিনল্যান্ড:
ফিনল্যান্ডের ছোট্ট একটি গ্রামে এই উৎসবের আসর বসে। যেখানে যৌনতা নিয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। সঙ্গে থাকে সেক্স টয় প্রদর্শনী, স্ট্রিপ শো, লাস্যে ভরপুর নাচ ও নগ্ন মডেলের ক্যাটওয়াক। প্রতিবারই হাজার হাজার মানুষ হাজির হন এই অভিনব উৎসবের সাক্ষী হতে।
লাভ প্যারেড- জার্মানি:
খাতায়-কলমে বার্লিনের এই উৎসব বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেকনো ফেস্টিভ্যাল। কিন্তু আদপে তা একেবারেই নয়। এটি আসলে আদ্যন্ত একটি যৌনতা উৎসব। যেখানে নিরাপত্তাকে তোয়াক্কা না করেই মাঝরাস্তায় চলে যৌনতা সংক্রান্ত সবরকম কার্যকলাপ।
ইরোটিকা- লন্ডন:
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ও বিশাল উৎসব এটি। যেখানে যৌন আবেদনে ভরপুর বিভিন্ন ধরনের গয়না ও বুটিক পাওয়া যায়। প্রথম বছরই এখানকার ভিড় হয় চোখে পড়ার মতো। শুধু সাধারণ মানুষই নয়, নামী-দামি সেলিব্রিটিরাও শামিল হয় এই ইরোটিকা উৎসবে।
আন্তর্জাতিক ইরোটিক চলচ্চিত্র উৎসব- স্পেন:
বার্সেলোনার এই উৎসবে অ্যাডাল্ট ও ইরোটিক ছবি দেখানো হয় এবং তা নিয়ে আলোচনাও করা হয়। এখানেই শেষ নয়, অন্তর্বাসের শো, যৌনতা সংক্রান্ত প্রোডাক্টের মেলা ও সেক্স পার্টির আয়োজন করা হয়। তথাকথিত রক্ষণশীল যৌনজীবনের ধারণাকে বদলে ফেলতেই এই উৎসব।