ছোটপর্দায় তারকাদের পারিশ্রমিক জানলেই চমকে উঠবেন!
পারিশ্রমিক কত? এর সঠিক হিসেব দেওয়া সম্ভব নয়! সময়ের পরিবর্তনে তারকারা তাদের ইচ্ছেমতো পারিশ্রমিক হাঁকিয়ে থাকেন। এর জন্য নেই নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম বা নীতিমালা।
এই মুহূর্তে বেশ কিছু নাট্যসংগঠনের তৎপরতা দেখা গেলেও এ বিষয়ে আসলে তাদের পদক্ষেপ কী তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। পারিশ্রমিকটা যে যত হাকিয়ে তুলতে পারে, এটাই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে।
আবার ছোট পর্দা হলেও বিজ্ঞাপন ও নাটকের আলাদা পারিশ্রমিক। নাটকের চেয়ে কয়েকগুন পারিশ্রমিক তোলেন বিজ্ঞাপনে।
এ সময়কার আলোচিত ও জনপ্রিয় টিভি অভিনয় শিল্পীদের পারিশ্রমিকের হিসেব দেওয়া হলো। বাজারে প্রচলিত হিসেব দেওয়া হয়েছে।
অপূর্ব:
ছোটপর্দায় এ সময়ে সবচেয়ে আলোচিত অভিনেতা অপূর্ব। বিশেষ করে গত দুই ঈদের আলোচিত নাটক তার পারিশ্রমিক করেছে আকাশচুম্বী। জানা যায়, ব্যাচ ২৭ টেলিফিল্মের জন্য তিনি লাখ টাকা হাকিয়েছেন।
একই ঈদে প্রচার হওয়া আলোচিত নাটক ‘বড় ছেলে’র পর সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। এখন তিনি টেলিছবির জন্য এক লাখ ও এক ঘন্টার নাটকের জন্য ৮০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন।
এক ঘন্টার নাটকে সর্বোচ্চ দুইদিন সময় দিবেন। টেলিছবির জন্য তিনদিন। ধারবাহিক নাটক বর্তমানে করেন না বললেই চলে। যা হাতে আছে প্রতিদিন হিসাবে ২০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। তবে কাছের কারও কাজের বেলায় এর কিছু হেরফের হয়।
মেহজাবিন:
‘বড় ছেলে’ নাটকে অভিনয় করে মেহজাবিনের দামটাও বেশ। অভিনেত্রীদের মধ্যে বর্তমানে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন তিনি। এক ঘন্টার নাটকের জন্য ৫০ হাজার নিয়ে থাকেন। টেলিফিল্মের জন্য সেটা ৭০ হাজার পর্যন্তও হাকানো নয়। বিজ্ঞাপনে তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা। পণ্যের মান বুঝে আরও বেশি।
জাহিদ হাসান:
এক ঘণ্টার নাটকের জন্য তিনি সাধারণত নিয়ে থাকেন ৫০ হাজার টাকা। টেলিছবি ৬০-৭০ হাজার। ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে দিনে ১০-১৫ হাজার পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন।
মোশাররফ করিম:
এক ঘণ্টার নাটকের জন্য ৪০-৫০ হাজার টাকা তাঁর পারিশ্রমিক। তবে একঘণ্টার নাটকে সময় দিয়ে থাকেন একদিন। টেলিফিল্মের বেলায় সেটা দুই কিংবা তিনদিনের হয়। সেক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে কিছুটা ছাড় দেন। টেলিফিল্মে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন।
সময় দিবেন তিনদিন। ধারাবাহিকে প্রতিদিনের জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। বিজ্ঞাপন তুলনামূলক কম করে থাকেন। সেটা তিনি আলোচনার করেই সারেন। জানা যায়, ১০ থেকে ২০ লাখ পর্যন্ত পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন তিনি।
চঞ্চল চৌধুরী:
প্রতিদিনের জন্য তিনি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। বিজ্ঞাপনে ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নেন তিনি।
সাদিয়া ইসলাম মৌ:
এক ঘন্টার নাটকের জন্য ৫০ হাজার পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। টেলিফিল্মে সেটা ৭০ হাজার। নাটকে বড়জোর দুই দিন সময় দেন তিনি। টেলিফিল্মে তিনদিন। কোনো কোনো বিজ্ঞাপনের জন্য ১০ লাখ টাকার ওপর হাকানোরও রেকর্ড রয়েছে তাঁর।
মাহফুজ আহমেদ:
ধারাবাহিক নাটক করেন না বললেই চলে। এক ঘণ্টার নাটকের জন্য ৪০-৫০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। টেলিছবিতে সেটা ৭০ হাজার পর্যন্ত উঠে আসে।
তৌকীর আহমেদ:
এক ঘণ্টার নাটকের জন্য ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। ধারাবাহিকে দিনে নেন ১০ থেকে ১৫ হাজার।
বিপাশা হায়াত:
নাটকে অভিনয় করেন না বললেই চলে। তার পারিশ্রমিকের হিসেবটা তৌকিরের মতোই। ৪০ থেকে ৫০ হাজার নিয়ে থাকেন একক নাটকে।
অপি করিম:
অপি করিম খুবই কম কাজ করে থাকেন। এক ঘণ্টার নাটকের বেলায় ৪০-৫০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন।
তারিন:
এক ঘণ্টার নাটকের জন্য ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নেন।
তিশা:
এক ঘণ্টার নাটকের জন্য ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। ধারাবাহিকে প্রতিদিনের জন্য ১০ থেকে ১৫ হাজার। বিজ্ঞাপন বেশিরভাগই তাঁর স্বামীর পরিচালনায় করে থাকেন। সেখানে হিসেব ভিন্ন।
সজল:
এখন ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছেন না। তাই গত কয়েক বছর ঈদে সবচেয়ে বেশি নাটকে দেখা যাচ্ছে তাকে। এক ঘণ্টার নাটকের জন্য পারিশ্রমিক নিচ্ছেন ৩০ হাজার টাকা।
শহীদুজ্জামান সেলিম:
তিনি সাধারণত একক নাটকের জন্য প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন।
আফরান নিশো:
এক ঘণ্টার নাটকের জন্য প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেন। আর ধারাবাহিকের জন্য ১০ হাজার।
শখ:
এক ঘণ্টার নাটকের জন্য ৩০ হাজার টাকা আর টেলিছবির জন্য ৪০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। ধারাবাহিক নাটকে প্রতিদিনের জন্য নেন ১০ হাজার টাকা। বিজ্ঞাপনে ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা নিয়ে থাকেন।
মৌসুমী হামিদঃ
এক ঘন্টার নাটকের জন্য দুদিনে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। ধারাবাহিকে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার।
জাকিয়া বারী মম:
এক ঘণ্টার নাটকের জন্য নেন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। ধারাবাহিক নাটকের জন্য নেন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা প্রতিদিনের জন্য।
এছাড়া তরুণ অভিনেতা জোভান, তৌসিফ, সাবিলা নূর, নাদিয়া মীম, শবনম ফারিয়া, টয়া,সাফা, সিয়ামদের একক নাটকে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দিতে হয়।