রিমান্ড শেষে কারাগারে আনিস আলমগীর
ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান শাহাদাত এ আদেশ দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই শামীম হোসেন জানান, পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর কাজী শাহনেওয়াজ।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আনিস আলমগীরকে প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে মামলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্যাদি যাচাই বাচাই করা হচ্ছে। যাচাই কালে তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেলে তাকে পুনরায় রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এ অবস্থায় তাকে কারাগারে আটক রাখার প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করে। কিন্তু তার অনুসারীরা দেশের মধ্যে বিভিন্ন কৌশলে ঘাপটি মেরে অবস্থান করে দেশের অস্থিতিশীল ও রাষ্ট্রের অবকাঠামোকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে রাষ্ট্র বিরোধী অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র করে আসছে। আসামিরা আগে থেকে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় রয়েছে।
তারা গত বছরের ৫ অগাস্টের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন টকশোতে নিষিদ্ধ সংগঠনকে ফিরে আনার জন্য প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে আসছে।
১৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আরিয়ান আহমেদ উত্তরা পশ্চিম থানার ১১নং সেক্টরস্থ ৫নং রোডের ৫নং বাসায় বসে মোবাইলে দেখতে পান, আসামিরা ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুর্নবাসন করার পাঁয়তারা করছে। তাদের বিভিন্ন পোস্টের ফলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা অনুপ্রাণিত হয়ে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও রাষ্ট্রের অবকাঠামোকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে রাষ্ট্র বিরোধী অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্রের ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছে।










