বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে বাংলাদেশের আর কত ম্যাচ বাকি, জানালো বিসিবি
বাংলাদেশের পছন্দের ফরম্যাট বলা হতো ওয়ানডেকে। সেই ৫০ ওভারের ক্রিকেটেই সম্প্রতি ধুঁকছে টাইগাররা। টানা চার সিরিজে হার। শেষ ১১ ওয়ানডের মধ্যে সাফল্য মাত্র এক ম্যাচে। টানা এই ব্যর্থতায় সরাসরি ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলা নিয়েও জেগেছে শঙ্কা!
মেহেদী হাসান মিরাজের দলের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে গত কিছুদিন নানামুখী প্রতিবেদন হয়েছে গণমাধ্যমে। এরমধ্যে কিছু প্রতিবেদনে বিভ্রান্তি রয়েছে মনে করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিসিবির বিবৃতি অনুসারে, প্রতিবেদনগুলোর কিছু অংশে দলের নির্ধারিত ম্যাচের সূচি ও র্যাঙ্কিং নিয়ে বিভ্রান্তিকর বা ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। বাস্তবে, বর্তমান আইসিসি ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী বাংলাদেশ ১৪ অক্টোবর ২০২৫ থেকে নভেম্বর ২০২৬ সময়ের মধ্যে দেশে ও বিদেশে মোট ২৪টি একদিনের ম্যাচ খেলবে। এই সময়টাই বিশ্বকাপে সরাসরি যোগ্যতা অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ আটটি দল (আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে বাদে) স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্বকাপের মূলপর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
নির্ধারিত সূচি (১৪ অক্টোবর ২০২৫ থেকে নভেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত) নিম্নরূপ-
আফগানিস্তান – ১টি ওয়ানডে (বিদেশে)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ৩টি ওয়ানডে (ঘরে)
পাকিস্তান – ৩টি ওয়ানডে (ঘরে)
নিউজিল্যান্ড – ৩টি ওয়ানডে(ঘরে)
অস্ট্রেলিয়া – ৩টি ওয়ানডে (ঘরে)
জিম্বাবুয়ে – ৫টি ওয়ানডে (বিদেশে)
আয়ারল্যান্ড – ৩টি ওয়ানডে (বিদেশে)
ভারত – ৩টি ওয়ানডে (ঘরে)
অনেকে নানামুখী হিসেব করে বাংলাদেশকে হিসেবের বাইরে ফেললেও বিসিবি জানিয়েছে, ‘এই ম্যাচগুলো আইসিসি এফটিপির অধীনে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের অংশ এবং বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের অবস্থান নির্ধারণে সরাসরি প্রভাব ফেলবে। এই ম্যাচগুলোই দলকে পর্যাপ্ত সুযোগ দেবে প্রয়োজনীয় র্যাঙ্কিং পয়েন্ট অর্জনের মাধ্যমে শীর্ষ আটে থাকার এবং স্বয়ংক্রিয় যোগ্যতা নিশ্চিত করার জন্য।’
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ‘বিসিবি সকল গণমাধ্যম পেশাজীবী ও প্ল্যাটফর্মকে আহ্বান জানাচ্ছে তারা যেন প্রতিবেদনে যথাযথ সত্যতা ও দায়িত্বশীলতা বজায় রাখেন। আন্তর্জাতিক ম্যাচ সূচি ও টুর্নামেন্টের যোগ্যতা নির্ধারণ প্রক্রিয়া সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশের আগে আমরা দৃঢ়ভাবে অনুরোধ করছি যে তথ্যগুলো যেন মৌলিক উৎস থেকে যাচাই করা হয়।’










