
পাকিস্তানের কাছে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশের
পাকিস্তানের কাছে ১১ রানে হেরে এশিয়া কাপ শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের। টসে হেরে আগে ব্যাট করা পাকিস্তানের ৮ উইকেটে করা ১৩৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ করে ৯ উইকেটে ১২৪ রান। পাওয়ার প্লেতেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশ করে ৫৮ রান। তবে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন থেকেই ধুকতে থাকে।
১৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি বাংলাদেশের। শাহিন শাহ আফ্রিদির করা প্রথম ওভারেই ইমন আড়াআড়ি ব্যাটে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে। ইনিংসের পঞ্চম বলেই ১ রানে ১ উইকেট নেই বাংলাদেশের। ওয়ান ডাউনে নেমেছিলেন তাওহিদ হৃদয়,সাইফ হাসানের সঙ্গে ২১ বলে ২২ রানের একটা জুটিও হয়েছিল। কিন্তু শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে হৃদয়ও ১০ বলে ৫ রান করে বিদায় নেন সাইম আইয়ুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে। তার আগে অবশ্য ভুল বোঝাবুঝি থেকে রানআউটের হাত থেকে বেঁচেছেন। ফেরার তাড়াতেই খুব সম্ভবত পরের বলেই হলেন আউট। অন্যপ্রান্তে উইকেট পতন চললেও সাইফ হাসান খেলছিলেন স্বভাবজাত ভঙ্গিতেই।
হারিস রউফ ও ফাহিম আশরাফকে দারুণ দুটো ছক্কাও মেরেছেন। খানিকটা দূর্ভাগাই বলা যায় সাইফকে। হারিস রউফের ভেতরে আসা দ্রুত গতির বলটায় লেগ সাইডে ফ্লিক খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান ১৫ বলে ১৮ রান করে। পরের বলটাতেই প্রায় একই ভঙ্গিতে খেলতে গিয়ে ছক্কা পেয়েছেন সোহান। উপরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাওয়া মেহেদি হাসানও মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে মারতে গিয়ে ক্যাচ অনুশীলন করিয়েছেন হুসাইন তালাতকে। নুরুল হাসান সোহান কেন একাদশে নেই, এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা কম হচ্ছিল না টিম ম্যানেজমেন্টের। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা জিতিয়ে নায়ক বনে যাবার সুযোগ ছিল তার সামনে, হয়তো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেও ঠাঁই করে নিতে পারতেন। হেলায় সুযোগটা হারিয়ে সোহান বুঝিয়ে দিলেন, নিজ যোগ্যতার চেয়ে অন্যের অযোগ্যতায় দলে আসতে পারলেই তিনি খুশি। সাইম আইয়ুবের ঝুলিয়ে দেয়া বলে খেললেন হাফ হার্টেড শট। বলটা উড়ে গিয়ে জমা পড়ল লং অফের ফিল্ডারের হাতে। ২১ বলে ১৬ রানের ইনিংস খেলে, যাতেও ভাগ্যের ছোঁয়া কম ছিল না।
অধিনায়ক জাকের আলি আউট হওয়ার পর ধারাভাষ্যকার বলেছেন বুদ্ধিহীন ক্রিকেট। সাইম আইয়ুবের ঝুলিয়ে দেয়া বলে গায়ের জোরে ব্যাট চালিয়েছেন জাকের। অফ সাইডে ব্যাটের সুইট পার্টের রেঞ্জের চেয়ে বেশ খানিকটা দূরে পড়া বলটা টেনে লেগে খেলতে গিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন আকাশে। মোহাম্মদ নাওয়াজ অনায়াসে ধরেন ক্যাচটা।
৯ বলে ৫ রান করে আউট হয়ে শেষ হল জাকেরের এশিয়া কাপ অভিযান। যাবার আগে বলেছিলেন শিরোপা জিততে যাবেন, আগে যেসব ক্যাচ হত এখন সব ছয় হবে পাওয়ার হিটিং অনুশীলনের পর। জাকের এশিয়া কাপে একটা ছক্কাও মারতে পারেননি। শামীম হোসেন (৩০) আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের হার ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র।
শেষ ২ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৩৩ রান, হাতে মাত্র ১ উইকেট। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৩। রিশাদের দৃড়তায় বাংলাদেশ খেলায় ছিল শেষ ওভার পর্যন্ত। তবে ১২৪ রানেই আটকে যায় বাংলাদেশ।