371173

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, স্টারমারে ঘোষণা

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া। এর আগে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাজ্য সফর শেষ করার পরই আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি জানাবে তার দেশ। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ঘোষণা করেন যে, যুক্তরাজ্য এখন আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

একটি ভিডিও বিবৃতিতে স্টারমার বলেন, আজ, শান্তি এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের আশা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য, আমি স্পষ্টভাবে বলছি, এই মহান দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।

ঘোষণার কয়েক ঘন্টা আগে, স্টারমারের ডেপুটি এই পদক্ষেপের পক্ষে যুক্ত তুলে ধরে বিবিসিকে বলেন, এখন দুই-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে দাঁড়ানোর সময়।

এর ফলে যুক্তরাজ্য প্রথম জি৭ ভুক্ত দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলো। এই সপ্তাহের জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ফ্রান্স এবং কানাডাও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এর আগে যেসব দেশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে চেয়েছে তাদের বিরোধিতা করেছেন এবং বলেছেন এটিকে স্বীকৃতি দেয়া মানে হামাসের ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয় সফরের কয়েকদিন পর ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়া হলো।

এদিকে, অস্ট্রেলিয়াও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে আজ স্বীকৃতি দিয়েছে। রোববার অস্ট্রেলিয়া সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়।

এতে আরও বলা হয়েছে যে ফিলিস্তিনে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকা উচিত নয়।

অন্যদিকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘বর্তমান ইসরাইলি সরকার ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা রোধ করার জন্য পদ্ধতিগতভাবে কাজ করছে। তারা পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের এক অবিচল নীতি অনুসরণ করেছে, যা আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অবৈধ। গাজায় তাদের অব্যাহত আক্রমণের ফলে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। দশ লক্ষেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে একটি ভয়াবহ এবং প্রতিরোধযোগ্য দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হয়েছে।’

কানাডা আরও বলছে, ‘দুই রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা সংরক্ষণের জন্য একটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কানাডা এটি করছে। যদিও কানাডা এই স্বীকৃতিকে একটি প্রতিষেধক হিসেবে বিবেচনা করে না, তবুও এই স্বীকৃতি জাতিসংঘের সনদে প্রতিফলিত আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং মৌলিক মানবাধিকারের নীতি এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে কানাডার ধারাবাহিক নীতির সাথে দৃঢ়ভাবে সঙ্গতিপূর্ণ।

ad

পাঠকের মতামত