368906

চাঁদা আদায়ের অভিযোগ: বিএনপির ২ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার

নিউজ ডেস্ক।। মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ফেরিঘাট, মাছঘাট ও ট্রলারঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চাঁদা তোলার অভিযোগে কুমারভোগ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাউসার তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জনিকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মো. কামরুজ্জামান রতন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, কাউসার তালুকদার ও আনোয়ার হোসেন জনিকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকায় বিএনপি সব ধরনের পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে স্থায়ীভাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় বিএনপিকে অবহিত করে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণে সুপারিশ করা হবে।

এর আগে শিমুলিয়া ঘাট থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার কাউসার তালুকদার ও আনোয়ার হোসেন জনিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

জানা গেছে, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। তবে প্রতিদিন কয়েক হাজার দর্শনার্থী এখানে বেড়াতে আসেন। চলতি অর্থ বছরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছ থেকে লৌহজং উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মোল্লা প্রায় ১ কোটি ৪২ লাখ টাকায় ঘাটের ইজারা নেন। পাশাপাশি ৮ লাখ টাকায় দুটি ট্রলার ঘাট ও ১০ লাখ টাকায় মাছ ঘাটেরও ইজারা নেন তিনি।

ইজারাদার ও স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি নেতা কাউসার তালুকদার এবং আনোয়ার হোসেন জনির নেতৃত্বে ইউনিয়ন বিএনপি এবং অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীদের একটি দল ঘাটের সব ব্যবসা দখলে নেন। তাঁরা ১৬ আগস্ট ঘাটের পার্কিং, ট্রলার ঘাট, দোকান, রেস্তোরাঁ থেকে টাকা তুলতে শুরু করেন। পর দিন ঘাটের দায়িত্বে থাকা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শেখ মেহেদি হাসানকে মারধর করে ঘাট থেকে বের করে দেন। পরে কাউসার তালুকদার ও আনোয়ার হোসেন জনির সঙ্গে সমঝোতায় আসতে বাধ্য হন ইজারাদার। গত ২০ আগস্ট থেকে কাউসার তালুকদার ও আনোয়ার হোসেন জনি গং শিমুলিয়া ঘাট থেকে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা চাঁদা তুলে নিজেদের কাছে রাখছেন। উৎস: সমকাল।

 

ad

পাঠকের মতামত