স্ত্রীকে ছুটিতে পাঠিয়ে বাসায় অন্য নারীর সঙ্গে ধরা পড়লেন ফুটবলার
খেলাধূলা ডেস্ক।। প্রিমিয়ার লিগের এক শীর্ষ ফুটবলারের সম্প্রতি বিচ্ছেদ হয়েছে। মেইল অনলাইন বলছে কলিংবেলের সঙ্গে থাকা ক্যামেরায় এক অপরিচিত নারীকে নিয়ে ফুটবলারকে বাসায় ঢুকতে দেখেন স্ত্রী। এরপরই এসেছে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত।
মেইল অনলাইন দাবি করছে, ওই ফুটবলারকে সবাইকে চেনেন, কারণ গত ইউরোতেও জাতীয় দলে খেলেছেন তিনি। বলা হচ্ছে, ইনস্টাগ্রামে সে নারী ফুটবলারের বিছানায় শুয়ে তোলা ছবি তাঁর স্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে মেসেজ পাঠিয়েছেন, ‘তোমার স্বামীর সঙ্গে আছি।’
স্ত্রী তখন তাঁর সন্তানদের নিয়ে ছুটি কাটাচ্ছিলেন। দ্রুত দরজার ওপরে থাকা ক্যামেরার অ্যাপ ‘রিং অ্যাপ’-এ ঢুকে দেখেন, একজন নারীকে নিয়ে তাঁর স্বামী বাসায় ঢুকছেন।
এক সূত্র জানিয়েছে, ‘এটা দেখে স্ত্রী প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছে, কারণ এমন কিছুর কথা কল্পনাও করেনি সে।’ ফুটবলার স্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছিলেন, ইনস্টাগ্রামের মেসেজে পাঠানো ছবিটা ফেক। কিন্তু সূত্র জানিয়েছে, ‘যখন সে ডোরবেল ক্যামেরার ফুটেজ দেখল তখন বুঝতে পেরেছে কোনটা সত্যি। এরপর তো আর বিয়ে টিকে থাকে না।’
মেইল অনলাইন বলছে, ইউরো চলাকালে কিছু সতীর্থ নাকি এ নিয়ে হাসিঠাট্টাও করেছে। এবং আড়ালে তাঁকে রিংগো নামেও ডেকেছে।
ইনস্টাগ্রামে পাঠানো বলে দাবি করা ছবিতে দেখা গেছে, একটি বিছানায় শুয়ে আছেন দুজন। তাদের মুখ দেখা যাচ্ছে না। তবে দেয়ালে একটি ছবিতে ফুটবলারের সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তানদের দেখা যাচ্ছে। মেইল অনলাইন অবশ্য মুখগুলো ঢেকে দিয়েছে প্রতিবেদনে।
ছবিটা পেয়েই ফোন করেছিলেন স্ত্রী, কিন্তু ফুটবলার আশস্ত করেন যে তিনি নির্দোষ, কেউ এডিট করা ছবি পাঠিয়েছে। শুরুতে বিশ্বাস করলেও ঘরের ডোরবেল ক্যামেরা অ্যাপ চালু করতেই দেখতে পান, এক নারীকে নিয়ে ঘরে ঢুকেছেন তাঁর স্বামী।
ফুটবলারের স্ত্রী দেখতে পান, ইনস্টাগ্রামে ছবি পাঠানো নারী ও ভিডিও ক্যামেরায় দেখা নারী একইজন। ফুটবলারের পরিচয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক আলোচনা চলছে, তবে তিনি কে, এটা এখনো বোঝা যাচ্ছে না। তবে ইংল্যান্ডের ইউরো দলে খেলেছেন বলে সম্ভাব্যের তালিকাটা খুব বেশি বড়ও না।