সারজিস আলম কড়া বার্তা দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারকে
নিউজ ডেস্ক।। ভুলক্রটি হলে অন্তর্বর্তী সরকারকেও ছাত্র সমাজ চাপে রাখবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেকিডস ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন আন্দোলনে আহত ১৪০ জনের শারীরিক অবস্থা দেখার পর একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘যখন অন্য কোনো দল ক্ষমতায় ছিল তখন আমরা তাদের চাপের মধ্যে রেখেছিলাম। একইভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও চাপের মধ্যে রাখব। তাদের যে কাজগুলো করা উচিত সেগুলো না করলে আমরা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেব। সেটি বাস্তবায়নে চাপ প্রয়োগ করব।’
আন্দোলনে আহতরা এখনো পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাচ্ছেন না অভিযোগ করে এ সময় সারজিস আলম বলেন, লাল ফিতার দৌরাত্ম যে ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে আহত ছাত্রদের সরকারি সহায়তায় বিলম্ব হচ্ছে। বিত্তবান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আহতদের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। সহায়তার ক্ষেত্রে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা আহতদের সঙ্গে সাহায্যকারীদের যোগাযোগ করিয়ে দেবে। তারা কোনো টাকায় হাত দেবে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারলে (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এদিন আহতদের খোঁজখবর নেন। স্বজন ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।
পরে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের সুস্থ করতে সরকার সব ধরনের চেষ্টা করছে। চিকিৎসকরা রোগীদের ভালোভাবে সেবাদান করছেন। সব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের সহায়তা করা হবে। এ সময় এমএইচ গ্লোবাল গ্রুপ নামের একটি প্রতিষ্ঠান মোস্তাফা হাজেরা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহতদের আর্থিক সহায়তা দেয়। গ্রুপের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম আহতদের হাতে চেক তুলে দেন।
এদিন বিকালে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে যান ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা হচ্ছে। আহত ছাত্রদের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে বিদেশ পাঠানো হবে। এ সময় ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রধান শায়েখ আহমাদুল্লাহ। আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহতদের হাতে ৩০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘাতে সাড়ে ছয়শর বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার ব্যক্তি। এর মধ্যে গুরুতর আহত সহস্রাধিক ব্যক্তি এখনো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উৎস: যুগান্তর।