কে হচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব?
নিউজ ডেস্ক।। চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিনকে ঢাকায় বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অবিলম্বে তাকে ফেরত আসার নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জসিম উদ্দিন পরবর্তী পররাষ্ট্র সচিব হতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ের সচিব পরিবর্তন হবে, এটি খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। এর আগে যখনই ক্ষমতা পরিবর্তন হয়েছে, তখনই পররাষ্ট্র সচিব পরিবর্তন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জসিম উদ্দিন পররাষ্ট্র ক্যাডারের একজন সচিব পদমর্যাদার চৌকস কর্মকর্তা এবং তার চাকরির মেয়াদ আছে আরও আড়াই বছর। এ ধরনের একজন কর্মকর্তাকে বিশেষ কোনও উদ্দেশ্য না থাকলে ডেকে পাঠানোর কোনও কারণ নেই।’
বর্তমান সচিবের মেয়াদ: বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ১৯৮৫ ব্যাচের পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা। তিনি ওই ব্যাচে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং স্বাভাবিক নিয়মে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তার অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময়ে দুই বছরের জন্য তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই হিসাবে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ৫ ডিসেম্বর।
অতীতের পরিবর্তন: ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সময় পররাষ্ট্র সচিব ছিলেন সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। লতিফুর রহমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণ করার দিনই মোয়াজ্জেম আলীর চাকরি বাতিল করেন। এরপর ২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ঠিক আগে পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বর্তমান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ২০০৮ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ পররাষ্ট্র সচিব পদে পরিবর্তন আনে।
চীনে রাষ্ট্রদূত জসিম উদ্দিন: ১৩তম ব্যাচের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন পররাষ্ট্র ক্যাডারে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। ১৯৯৩ সালে চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর তাকে প্রথম পোস্টিং দেওয়া হয় টোকিওতে। এরপর দিল্লি, ওয়াশিংটন এবং ইসলামাবাদে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার অনুবিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৫ সালে রাষ্ট্রদূত হিসেবে গ্রিস এবং পরবর্তীকালে কাতারে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উৎস: বাংলা ট্রিবিউন।