মুখ খুললেন সোহান, জার্সি নিয়েও হয় দুর্নীতি
খেলাধূলা ডেস্ক।। জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনএসিএল) খুলনা বিভাগকে নেতৃত্ব দেয়া নুরুল হাসান সোহান দলের জার্সির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনলেন। ঘটনাটি পুরনো হলেও ক্রিকেট বোর্ডে সংস্কারের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একটি অভিজ্ঞতার কথা জানান টাইগার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
‘প্রথম শ্রেণির ম্যাচ যখন খেলেছি বিসিবি থেকে বরাদ্দ থাকে বিভাগীয় দলের জন্য তিন লাখ টাকা। যেহেতু আমি অধিনায়ক ছিলাম, নিজের চোখে দেখেছি আমাদের জার্সি বানানো হয়েছে ৮০ হাজার টাকায়, ৩০ জন খেলোয়াড়ের জন্য। যা পরার মতো না। এটার দায়িত্বে নাকি বিভাগীয় সেক্রেটারি থাকে। আপনারা দেখে নেবেন কে ছিল শেষ ১৪-১৫ বছরে। পরে আমরা খেলোয়াড়রা টাকা দিয়ে জার্সি বানিয়েছি। এমন (দুর্নীতি) অনেক সেক্টরেই হয়ত আছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সেক্টরে লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া।
সরকার পতনের পরেরদিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, সাকিব আল হাসানদের সংসদ সদস্য (এমপি) পদ বাতিল হয়ে যায়।
বড় পদধারী পরিচালকরা আসছেন না বিসিবিতে, অনুপস্থিত কর্মকর্তাদের অধিকাংশই সদ্য পতন হওয়া সরকারদলীয় রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। সোহানের মতে, ক্রিকেটের সঙ্গে রাজনীতির সংশ্লিষ্টতা থাকা উচিত নয়।
‘ক্রিকেট বোর্ডে ভালো সংগঠকদের আসা উচিত। ক্রিকেট বোর্ড ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জায়গা না। এখানে এসে মোটা অঙ্কের টাকা আয় করে দেশ ছেড়ে চলে যাবেন, এমন ব্যক্তিদের বোর্ডে না আসাই ভালো।’
‘সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করে জাতীয় দলে খেলা কখনোই উচিত নয়। রাজনীতি একটা বড় ব্যাপার। রাজনীতির মাঠে থেকে জাতীয় দলে সেরকম সময় দেওয়া কঠিন কাজ। কারো যদি রাজনীতি করার ইচ্ছে হয়, তাহলে তার খেলা থেকে অবসরের পর করা উচিত।’
চোটের কারণে খেলার বাইরে রয়েছেন সোহান। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে কয়েকদিন আগে হয়েছে আঙুলের সার্জারি। মাঠে ফিরতে দেড় থেকে দুমাস লাগবে বলে মিরপুরে গণমাধ্যমকে জানান তিনি। চ্যানেল আই