যে দুই আমল অধিক ফজিলতপূর্ণ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর
ধর্মবার্তা।। একজন মুসলমান পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিকমতো আদায় করলে ইসলামের অন্যান্য সব আমল করা সহজ হয়ে যায়। কেউ যদি প্রতি ফরজ নামাজের পর দুটি আমল করে তাহলে জান্নাতে যাওয়াও সহজ হয়ে যাবে।
নবী ও রসুলগণ ছাড়া পৃথিবীতে কারও জান্নাতবাসী হওয়ার গ্যারান্টি নেই। তবে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১০ জন ও আরও কয়েকজনকে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তবে কেউ যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর একটি আমল করে তাহলে তার জান্নাতে যাওয়ার পথে কোনো বাধা থাকে না।
সে আমলটি হলে প্রতি নামাজের পর আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করা। হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, সে ব্যক্তির জন্য তার মৃত্যু ছাড়া আর অন্য কিছু জান্নাত প্রবেশের পথে বাধা হবে না। (নাসায়ি ৯৪৪৮)
কেউ যদি অন্যের হক নষ্ট করে, কবিরা গুনাহ করে এবং সগিরা গুনাহ নিয়মিত করে তাহলে সে এই ফজিলতের অন্তর্ভুক্ত হবে না। তাকে অবশ্যই ভালোভাবে তওবা করতে হবে। এছাড়া অনেকেই এসব গুনাহ থেকে বেঁচে থাকলেও নিয়মিত চোখ, জিহ্বা ও হাত দ্বারা সগিরা গুনাহ হয়ে থাকে তাদের জন্য রয়েছে আরেকটি আমল।
কেউ যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর তিন তাসবিহ পাঠ করে তাহলে আল্লাহ তাআলা তার সব গুনাহ মাফ করে দেন। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজের পর ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদু লিল্লাহ, ৩৩ বার আল্লাহু আকবার আর ৯৯ বার হওয়ার পর শততম পূর্ণ করতে বলবে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির’, তার গুনাহগুলো সাগরের ফেনারাশির মতো অসংখ্য হলেও ক্ষমা করে দেয়া হয়।’ (মুসলিম ৪৯০৬)
কেউ যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে তাহলে এমনিতেই সে আল্লাহ তাআলার নিকটবর্তী হবে। আবার অন্যান্য হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকাও সহজ হবে। এরপর যদি সে ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়ে তাহলে তার জান্নাত যাওয়ার পথে বাধা থাকবে না। যদি কোনো গুনাহ থেকেও থাকে তাহলে তিন তাসবিহ পাঠ করার ফলে আল্লাহ তাআলা তার সব গুনাহ ক্ষমা করবেন। এভাবে এই দুই আমলে জান্নাত পাওয়া সহজ হবে ইনশাআল্লাহ। উৎস: সময়টিভি।