
মায়ের ওষুধ কিনতে যায় সোহাগ, ফেরে গু.লিবিদ্ধ লা.শ
নিউজ ডেস্ক।। অসুস্থ মায়ের ওষুধ আনতে গিয়ে ঢাকার উত্তর বাড্ডায় গুলিতে নিহত হয় সোহাগ (১৭)। তার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার শানেরহাট ইউনিয়নের বড়পাহাড়পুর গ্রামে।
সোহাগের বাবার নাম রেজাউল মিয়া। তিনি পেশায় রিকশাচালক।
মাস তিনেক আগে পরিবার নিয়ে আশুলিয়া থেকে ঢাকার উত্তর বাড্ডায় ভাড়া বাসায় ওঠেন তারা। সোহাগ ছোট একটি রঙের কারখানায় কাজ করত।
সোহাগের বাবা বলেন, ‘শুক্রবার (১৯ জুলাই) জুমার নামাজ শেষে দুপুরের খাবার খেয়ে উত্তর বাড্ডার ভাড়া বাসা থেকে অসুস্থ মায়ের ওষুধ কিনতে যায় সোহাগ। বাঁশতলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ডাকা সর্বাত্মক কর্মসূচির সহিংসতার মধ্যে পড়ে গুলিতে আহত হওয়ার খবর পেয়ে এম জেড হাসপাতালে গিয়ে ছেলের লাশ খুঁজে পাই।
সেদিন রাতেই গ্রামের বাড়িতে লাশ নিয়ে আসি। আমার নিজের কোনো জমিজমা না থাকায় অন্যের জমিতে ছেলের লাশ দাফন করি এবং সেদিনই ঢাকায় চলে যাই। ছেলেকে হারিয়ে আর ঢাকায় থাকতে পারছি না। আজ সকালে (মঙ্গলবার) বাড়িতে এসেছি।’
তিনি আরো জানান, সোহাগ ছিল তার আয়ের ভরসাস্থল। সোহাগ মারা যাওয়ায় তারা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।
নিহত সোহাগের মা ছালমা বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মোর ওষুধ যদি আনবার না গেল হয়, তাহলি তো আর বাবা বুকে গুলি নাগল না হয়। মোর ছোল হামাক ছাড়ি চলি গেল। হামরা এ্যালা ক্যাংকরি থাকমো।
’ওই গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে হিরু মিয়া বলেন, গুলিটা সোহাগের বুকের বাঁ পাশে লেগে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। পুরো শরীর রক্তে মাখা ছিল।
শানেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান মেছবাহুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি শুনেছি ঢাকায় সোহাগ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ওর পরিবারকে সহায়তা প্রদান করব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’