যিশু-নীলাঞ্জনার ২০ বছরের সংসারে ভাঙন
বিনোদন ডেস্ক।। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত। বেশ কিছু জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের সূত্র ধরে বাংলাদেশেও জনপ্রিয় এই অীভনেতা। এখন অবশ্য কাজ করছেন মুম্বাইতেও। তবে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইতে পাড়ি দেওয়ার পাশাপাশি নতুন সংসারে পাড়ি দেওয়ার খবরও ভেসে এলো।
যদিও যিশু ও নীলাঞ্জনার সংসারের বয়স ২০ বছর। টলিউডের ‘পাওয়ার কপল’ হিসেবেই পরিচিত যিশু-নীলাঞ্জনা। আচমকাই দুজনের দাম্পত্যে ফাটলের গুঞ্জনে খানিক বিব্রত টলিপাড়া। আজকাল বিয়ে ভাঙার হিড়িক লেগেছে, কিন্তু যিশু-নীলাঞ্জনা অনেকের চোখেই আদর্শ দম্পতি।
এমনটাও ঘটেছে ইন্ডাস্ট্রির অনেক ভাঙা বিয়ে উদ্যোগ নিয়ে জুড়েছেন তাঁরা। আর তাঁদের ঘরই নাকি ভাঙতে বসেছে!
হিন্দুস্তান টাইমস জানাচ্ছে, যিশু সেনগুপ্তর বিরুদ্ধে উঠেছে পরকীয়ার গুঞ্জন। গোটা বিষয় নিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত নীলাঞ্জনা। হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে যিশুর সঙ্গে প্রায় সব ছবি মুছে ফেলেছেন নীলাঞ্জনা, আনফলো করেছেন স্বামীকে। খবর, কলকাতায় থাকলেও যিশু লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে থাকছেন না।
প্রকাশ্যে বিচ্ছেদ নিয়ে এখনো মুখ খোলেননি দুজনেই কেউই। তবে নীলাঞ্জনার ইঙ্গিতপূর্ণ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে তোলপাড় সর্বত্র। এই তো বছরখানেক আগের কথা।
‘লাভ বিয়ে আজকাল’-এর প্রচারের ফাঁসে দাম্পত্যের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন যিশু-নীলাঞ্জনা।
কলকাতার গণমাধ্যমের খবর, কয়েক দিন ধরেই যিশু ও নীলাঞ্জনার সম্পর্কের ভাঙন নিয়ে মুখর টলিপাড়া। তবে এই বিষয়ে প্রকাশ্যে যিশু বা নীলাঞ্জনা মুখ খুলতে না চাইলেও নতুন গুঞ্জন বলছে টলিউডের হ্যান্ডসাম নায়কের প্রেমে পড়েছেন গুজরাটের কন্যা শিনাল সুর্তি। কর্মসূত্রে শিনাল যিশু সেনগুপ্তর ম্যানেজার। প্রায় পাঁচ বছর ধরে যিশুর সব কাজ সামলাচ্ছেন তিনিই। এর আগে সুস্মিতা সেনের ম্যানেজার ছিলেন শিনাল।
জাতীয় স্তরের অভিনেতা হিসাবে যিশুর উত্থান শিনালের হাত ধরেই। টলিপাড়ায় আগুন গতিতে খবর ছড়িয়েছে মুম্বাইয়ে বেশ কয়েক মাস নাকি একসঙ্গে থাকছিলেন যিশু-শিনাল। লিভ ইনের খবর নীলাঞ্জনার কানে আসতে বেশি সময় লাগেনি।
২০০৪ সালে নীলাঞ্জনার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন যিশু সেনগুপ্ত। ধারাবাহিক, টেলি সিরিজের পর্দায় যিশু তখন জনপ্রিয় মুখ। অঞ্জনা ভৌমিকের জ্যেষ্ঠ কন্যা নীলাঞ্জনাও তখন অভিনয়জগতে বেশ জনপ্রিয়। তার পর যিশু-নীলাঞ্জনার প্রেমমাখা সুখের সংসার সারা এবং জারা দুই কন্যাসন্তান এলো। সন্তান-সংসারই নীলাঞ্জনার ধ্যানজ্ঞান হয়ে ওঠে। এদিকে টলিউড, বলিউডের একের পর এক সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত তখন যিশু। এই কর্মব্যস্ততাই কি যিশু-নীলাঞ্জনার দূরত্ব বাড়াল?
যদিও একসময় বউয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। যিশু সেনগুপ্তর মহিলা ভক্তের সংখ্যা আজও অগুনতি। তবে সেই নিয়ে ইনসিকিউরিটিতে ভোগেন না নীলাঞ্জনা। বরং তিনি বলেছিলেন, ‘১৯ বছর পর এটা নিয়ে আর কিছু….’। বউয়ের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে যিশু বলেছিলেন, ‘তুমি যেটা বল সেটা বলে দাও, আরেকজন যদি তোমার সঙ্গে ঘর করলে বুঝত’। এরপর নীলাঞ্জনা অকপটে জানান, অভিনেতার বউ হওয়া সহজ নয়, খুব কঠিন। বিশেষত এখন, যখন ও তিনটা আলাদা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছে। কলকাতাতে তো প্রায় থাকেই না। অনেক সময়ই বহু গুরুত্বপূর্ণ দিনে যিশু পাশে থাকে না। এমনটা আগে হতো না।…. তাই বর পাশে থাকে না এটা তো কঠিন, বাচ্চারাও বাবাকে মিস করে। অনেক সময়ই সারা দিন পর রাতে একটা ফোন আসে, সেটা তো স্ট্রেসফুল।’
এখন ম্যানেজারের সঙ্গে সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা জেরেই নাকি ভাঙনের মুখে যিশুর সংসার। ভক্তরা অবশ্য চান, সব ভুল-বোঝাবুঝি মিটিয়ে ফের পরস্পরের হাতটা শক্ত করে ধরুক যিশু-নীলাঞ্জনা।