কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদকে তুলে নিয়ে নি.র্যাতনের অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক।। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলামকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে পূর্বাচলে আবিষ্কার করেন বলে অভিযোগ করেছেন। খবর: সময়টিভি
সোমবার (২২ জুলাই) সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে নির্যাতনের বর্ণনা দেন নাহিদ।
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার আমি আমার এক বন্ধুর বাসায় যাই। সেই রাতে ২০ থেকে ৩০ সদস্যের একটি দল ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গেট ভেঙে আমাকে তুলে নিয়ে যায়। তারা গাড়িতে তুলে আমার চোখ বেঁধে ফেলে এবং হাতে হ্যান্ডকাফ পরায়। এরপর তারা আমাকে একটি রুমে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে আন্দোলন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। কেন আন্দোলন করছি, কেন প্রত্যাহার করছি না।’
‘পরবর্তীতে তারা আমাকে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। এরপর আমার কিছু মনে নেই। সোমবার ভোর ৪ থেকে ৫টা নাগাদ জ্ঞান ফিরলে দেখি আমি পূর্বাচলের জলসিড়ি এলাকায় পড়ে আছি। এরপর একটি অটোরিকশায় করে সেখান থেকে আমার বোনের বাসায় আসি। সেখান থেকে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’
ছাত্র আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করতে সমন্বয়কদের আটক করা হচ্ছে দাবি করে আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ বলেন, ‘আমার দুই হাত এবং দুই পা ক্ষত হয়েছে। আমি ট্রমার ভেতরে আছি। আমি মনে করি, ছাত্র আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করতে সমন্বয়কদের আটক করা হচ্ছে। আমাকে গুম করা হয়েছে। অন্যদের নিয়ে মিডিয়ার সামনে নানা ধরণের বিভ্রাট তৈরি করা হচ্ছে। সরকার আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করছে।’
এসময় সংবাদমাধ্যমের প্রতি সঠিক তথ্য তুলে ধরার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘ইন্টারনেট না থাকার কারণে আমরা একসাথে বসতে পারছি না, যোগাযোগ করতে পারছি না। এতে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। ফলে মিডিয়াতে ভুলভাবে আমাদের বক্তব্য প্রচার হচ্ছে। আমি আহ্বান জানাবো, সঠিক তথ্য মিডিয়া তুলে ধরবে।’
এখনও অনেক সমন্বয়ক নিখোঁজ দাবি করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তাহীনতা আছে। সরকার একদিকে আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে, আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। অন্যদিকে আমাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। আমরা এখনও অনেক সমন্বয়কের খোঁজ পাইনি। আমরা তাদের সন্ধান চাই এবং সকলের নিরাপত্তা নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চাই।’










