এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর হবে ৩১ জুলাইয়ের পরীক্ষায়ও: আইনমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক।। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) গুলশানে নিজ অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আলী আরাফাত উপস্থিত ছিলেন।
প্রজ্ঞাপনে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের কথা হচ্ছে, এই মুহূর্তে তাদের কোনো সন্তানের চাকরির বয়স নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হচ্ছে সর্বোচ্চ আদালত। তারা যে রায় দিয়েছেন, তার দাঁড়ি, কমা ও সেমিকোলনও আমরা বদলাতে পারবো না।’
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে কি না- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘পরিষ্কারভাবে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সব গ্রেডে। সর্বোচ্চ আদালত কিন্তু চারটি ক্যাটাগরি পরিষ্কারভাবে করে দিয়েছেন। সরকার এর বাইরে যেতে পারবে না, কারণ এটা আপিল বিভাগের রায়। এর বাইরে যাওয়া আমাদের কোনো অভিপ্রায়ও নেই।’
যেসব চাকরির আবেদনের শেষ তারিখ ২১ জুলাই, আজ ২৩ জুলাই জারি করা প্রজ্ঞাপন সেইসব চাকরিতে অনুসরণ করা হবে কিনা- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রজ্ঞাপনে পরিষ্কার বলা আছে, এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। আমার মনে হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই শেষ লাইনটি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। তার মানে, আগামী ৩১ জুলাই যে সব চাকরির পরীক্ষা হবে, সেটাও এই প্রজ্ঞাপনের আলোকে বিবেচনা করতে হবে।’
ভবিষ্যতে এ রায় পরিবর্ধন বা পরিমার্জন হবে কিনা- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপিল বিভাগের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আমি সেদিন বলেছিলাম, সর্বোচ্চ আদালত অত্যন্ত বিচক্ষণ একটি রায় দিয়েছেন। সুদূরপ্রসারী।’
‘সর্বোচ্চ আদালত যদি এখানেই শেষ করে দিতেন, তাহলে ভবিষ্যতে যদি কোনো বদল আসতো, তখন আবার রিভিউ করতে হতো। কিন্তু ততদিনে রিভিউয়ের সময়ও চলে যেতো। কাজেই ভবিষ্যতে যদি প্রয়োজন হয়, তখন দেখা যাবে,’ বলেন আনিসুল হক।
শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আমরা সচেষ্ট। সে জন্য আশা করতে পারেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। উৎস: সময়টিভি।










