363630

টাইব্রেকারে ডাচদের কাঁদিয়ে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

স্পোর্টস ডেস্ক।। কাতার বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। এ জয়ে ডাচদের বিদায় করে আসরটির সেমিফাইনালে উঠে গেলেন লিওনেল মেসিরা।

রামোঞ্চে ভরপুর ম্যাচে আর্জেন্টিনা দুই গোলে এগিয়ে ছিল। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে দারুণ প্রত্যাবর্তনে ২ গোল শোধ দিয়ে ম্যাচে ফেরে ডাচরা। যেখানে নির্ধারিতর ৯০ মিনিট পর যোগ করা দশম মিনিটের শেষ মিনিটে গোল দিয়ে সমতায় ফেরে দলটি। পরে অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়ায়। তবে সেখানে আর কোনো গোল না হলে রেফারি টাইব্রেকারের বাঁশি বাজান।

টাইব্রেকারে ডাচদের দুটি শট ঠেকিয়ে নায়ক বনে যান আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। তিনি নেদারল্যান্ডসের প্রথম দুটি শট নেওয়া ভার্জিল ফন ডাইক ও স্টেভেন বার্গউসের শট আটকে দেন। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম তিনটি শটে গোল আদায় করে নেন লিওনেল মেসি, লিওনার্দো পারেদেস ও জনজালো মনটিয়েল।

নেদারল্যান্ডসের পরের তিনটি শট থেকে গোল করেন টেনু কুম্পেইনার্স, ওউট ওয়েগওরস্ট ও লুক ডি ইয়ং। তবে এনজো ফার্নান্দেসের করা আর্জেন্টিনা চতুর্থ শটটি ঠেকিয়ে দেন নোপার্ট। কিন্তু শেষ শট থেকে লাওতারো মার্তিনেস গোল করলে উৎসবে মাতে আর্জেন্টি।

শেষ চারে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ব্রাজিলকে বিদায় করা ক্রোয়েশিয়া।

শুক্রবার লুসাইল স্টেডিয়ামে খেলতে নামে দুদল। যেখানে ম্যাচে নেদারল্যান্ডস বল দখলে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও আর্জেন্টিনা আক্রমণে আধিপত্য দেখায়।

এ ম্যাচে অষ্টম মিনিটে নেদারল্যান্ডস গোলরক্ষক আন্ড্রিস নোপার্টের বড় ভুলে বিপদে পড়তে বসেছিল নেদারল্যান্ডস। তিনি বক্সে হুলিয়ান আলভারেস থাকা সত্ত্বেও তার পাশ দিয়ে ডান দিকে সতীর্থকে পাস দেন। তবে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড চেষ্টা করেও বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি। এ যাত্রায় বেঁচে যায় নেদারল্যান্ডস।

খেলার ২২তম মিনিটে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে বক্সের বাইরে থেকে লিওনেল মেসি শট নিলেন ঠিকই, তবে লক্ষ্যের ধারে কাছেও তা ছিল না। এরপর ৩৩তম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নেয় আর্জেন্টিনা। তবে রদ্রিগো দে পলের বক্সের বাইরে থেকে দুর্বল শট যায় গোলরক্ষক বরাবর।

কিন্তু দুই মিনিট পরই উল্লাসে মাতে আর্জেন্টিনা শিবির। ঝলক দেখান মেসি। ডান দিক দিয়ে ওঠা আক্রমণে একটু আড়াআড়ি বাঁ দিকে গিয়ে বাড়ালেন চমৎকার এক রক্ষণচেরা পাস। যেখানে ডি-বক্সের মুখে প্রথম ছোঁয়ায় বল ভেতরে টেনে দ্বিতীয় টোকায় এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে গোল করেন মোলিনা। জাতীয় দলের হয়ে এটি তার অভিষেক গোল।

বিরতির পরও আক্রমণাত্মক খেলে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে মেসির পেনাল্টি গোলে ব্যবধান বাড়া স্কালোনির শিষ্যরা। ডাচ ডি-বক্সে আকুনাকে ডামফ্রিস ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। এই গোলে অসাধারণ এক রেকর্ড ছুঁলেন মেসি। কিংবদন্তি গাব্রিয়েল বাতিস্তুতার সঙ্গে তিনি এখন বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা। দুজনেই ১০টি করে গোল করেছেন।

তবে ৮৩তম মিনিটে ব্যবধান কমায় নেদারল্যান্ডস। স্টেভেন বার্গউসের লম্বা ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে গোলটি করেন বদলি নামা ওউট ওয়েগওরস্ট।

পিছিয়ে থাকা ডাচরা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় আরও এক গোল করে। নির্ধারিত সময়ের পর যোগ করা ১০ মিনিটের শেষ মিনিটে জোড়া গোল পূর্ণ করেন ওয়েগওরস্ট। আর্জেন্টিনা ফাউল করলে ফ্রি-কিক পায় নেদারল্যান্ডস। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে কম্পিইনার্সের নিচু করে মারা শট পেয়ে গোল করতে কোনো ভুল করনেনি ওয়েগওরস্ট।

পরে রেফারি অতিরিক্ত সময়ের বাঁশি বাজান। কিন্তু এবার কোনো গোল না হলে টাইব্রেকারে ম্যাচ গড়ায়। সেখানেই বাজিমাত করে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করেন আর্জেন্টিনা।

 

ad

পাঠকের মতামত