অবসরের পর ফেসবুকে যা লিখলেন বেনজীর
নিউজ ডেস্ক।। পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) পদ থেকে আনুষ্ঠানিক অবসরে গেছেন বেনজীর আহমেদ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নতুন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন তিনি।
এদিন নিজের শেষ কর্মদিবস ও সামনের পথচলা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে একটি স্ট্যাটাস দেন বেনজীর। পরে রাত ১টা ০৮ মিনিটে কিছু সংশোধনীও করেন।
আমাদের অনলাইনের পাঠকের জন্য বানান সংশোধন করে সেই স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-
‘পড়াশোনা শেষ করে যে কর্মজীবন শুরু করেছিলাম, বাংলাদেশের আইজিপি হিসেবে আজকে তার যবনিকাপাত হলো। পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতায় আমার ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ পুলিশের শীর্ষ তিন পদে দায়িত্ব পালনের দুর্লভ সুযোগ হয়েছে। প্রতিটি পদে কর্তব্য পালনের সময় আমি আমার সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সর্বোচ্চ মেধা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম এবং পেশার প্রতি কঠোর আনুগত্য দিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি। দায়িত্ব পালনকালে চেনা-অচেনা, পরিচিত-অপরিচিত দেশের সাধারণ মানুষ আমাকে যে শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন, তার কোনো প্রতিদান দেওয়ার যোগ্যতা বা ক্ষমতা কোনোটাই আমার নেই।
চাকরির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আমার প্রত্যেক সহকর্মীর কাছ থেকে আমি যে সহযোগিতা ও সমর্থন পেয়েছি, তার জন্য তাদের প্রত্যেকের কাছে আমার অনেক ঋণ।
শিখেছি সবার কাছ থেকে, জ্যেষ্ঠ, সতীর্থ, অনুজ বিশেষ করে তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে আজ স্মরণ করতে চাই যারা দীর্ঘ সময়ব্যাপী ‘মেকিং অব এ বেনজীর’র লক্ষ্যে ব্যক্তিগতভাবে ভূমিকা রেখেছেন। সেই সঙ্গে পরিবার, শিক্ষক ও বন্ধুবান্ধব। আরও কৃতজ্ঞতা সব সহকর্মীর কাছে, যারা আমার নির্দেশে জনগণ, দেশ ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে কর্তব্য পালন করেছেন, অনেকে আহত হয়েছেন, কেউ কেউ শাহাদত বরণ করেছেন।
দেশের গণমানুষের সার্বিক কল্যাণ হোক। আগামীর প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জিতে যাক দেশ। প্রিয় মাতৃভূমিকে অভিবাদন।’
আজ শনিবার বিকেলে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্ট্যাটাসটি ১৪ হাজারের বেশি রিঅ্যাকশন পেয়েছে। এছাড়া স্ট্যাটাসে মন্তব্য এসেছে ২ হাজার ৮০০টি, একইসঙ্গে যা প্রায় ২৯৫টি শেয়ার হয়েছে। মন্তব্যে অনেকেই তাকে নতুন জীবনের পথচলায় স্বাগত জানিয়েছেন। মন্তব্যকারীদের মধ্যে পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তার সংখ্যাই বেশি।