363249

ইন্দোনেশিয়ার তরুণী প্রেমের টানে ছুটে এলেন বাংলাদেশে

নিউজ ডেস্ক।। ইন্দোনেশিয়ান এক তরুণী লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ছুটে এসেছেন। তার নাম ফানিয়া আইঅপ্রেনিয়া। ফানিয়া ইন্দোনেশিয়ার দিপক এলাকার পাউদি হেলমি ও ফিসুনয়াদি ইসনা ওয়াপির মেয়ে। তিনি সেখানকার একটি কল সেন্টারে চাকরি করেন।

দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রায়পুর উপজেলার রাসেল আহমেদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই সোমবার বিকেলে ফানিয়া ঢাকায় ছুটে আসেন। সেখান থেকে রাতে রায়পুরের রাখালিয়া এলাকায় রাসেল আহমদের বাড়িতে আসেন। অবশ্য রাসেল তাকে বিমানবন্দর থেকে নিয়ে এসেছেন। গতকাল মঙ্গলবার তারা বিয়েও করেছেন।

রাসেলের গ্রামের বাড়ি রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামে গতকাল বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। আজ বুধবার দুপুরে রাসেলের বাড়িতে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বর্তমানে ফানিয়াও রাসেলের আত্মীয়দের সঙ্গে বেশ আনন্দে সময় কাটাচ্ছেন।

রাসেল ও তার আত্মীয়দের সঙ্গে গল্প করতে দেখা যায় ফানিয়াকে। রাসেল আহমেদ রাখালিয়া এলাকার মনির হোসেনের ছেলে ও পেশায় গার্মেন্ট ব্যবসায়ী।

রাসেল আহমেদ জানায়, ফেসবুক ব্যবহারের সময় প্রায় ৪ বছর আগে ফানিয়ার সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। এরপর থেকে তাদের প্রতিদিনই কথা হতো। ভিডিও কলে দু’জনের কথা হতো প্রতিদিন। সম্প্রতি বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। এ জন্য ফানিয়া বাংলাদেশে এসেছেন। গ্রামের বাড়িতে আসার পর থেকে আশপাশের লোকজন তাকে দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন।

ফানিয়াকে নিয়ে এখানেই স্থায়ীভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এটি সময়ের ব্যাপার। কারণ ফানিয়া এখন দু’মাসের জন্য এসেছেন। তাকে আবার ইন্দোনেশিয়া চলে যেতে হবে। পরবর্তীতে তাকে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে থাকার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইন্দোনেশিয়ার মেয়ে ফানিয়া সাংবাদিকদের বলেন, রাসেলকে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি। তাকে বিয়ে করে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে থাকব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে আপাতত আমাকে আবার দেশে ফিরে যেতে হবে। মা-বাবাকে বিয়ের বিষয়টি জানিয়েছি। তারাও সম্মতি দিয়েছেন। এখানকার মানুষ খুব অতিথি পরায়ণ। সবাই খুব মিশুক। আমার দারুণ সময় কাটছে। আমি বাংলা ভাষা বুঝতে পারি। তবে অল্প কিছু শব্দ বলতে পারি। ধীরে ধীরে বাংলা ভাষা আয়ত্ত করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেব।

রাসেল আহমেদের মা বিলকিস বেগম বলেন, মেয়েটি খুব মিশুক। রাসেলকে ভালোবেসে সে অনেক দূর থেকে ছুটে এসেছেন। সত্যিই এটি অবাক করা ঘটনা। আসার পর থেকেই আমাদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের মতো মিশে গেছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে নিজেকে সবার সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছেন তিনি।

ad

পাঠকের মতামত