363146

বড় জয়ে শুরু বাংলাদেশের

খেলাধূলা ডেস্ক।। বাংলাদেশের স্কোরটা টি-টোয়েন্টি হিসেবে খুব একটা মানানসই ছিল না। তবে টাইগার ব্যাটাররা ব্যাট করার সময়ই দেখা গিয়েছিল উইকেট স্লো। যে কারণে সমর্থকরা আশায় বুক বেধেছিলেন, এই ১৫৫ রানও যথেষ্ট হবে বাংলাদেশের জন্য।

বোলাররা সেটাই প্রমাণ করলেন। বিশেষ করে নাসুম আহমেদ। অসাধারণ বোলিং করলেন সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান এবং শরিফুল ইসলামও। বোলারদের অসাধারণ বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে ১৭.৪ ওভারে মাত্র ৯৪ রানেই বেধে ফেললো বাংলাদেশ। সে সঙ্গে জয় এলো ৬১ রানের বড় ব্যবধানে।

১৫৬ রানের লক্ষ্য। টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের কাছে কিছুটা সহজ লক্ষ্যই বটে। তারওপর দলটির হাতে রয়েছেন রহমানুল্লাহ গুরবাজের মত ভয়ঙ্কর ওপেনার। যার ব্যাটে অসাধারণ সেঞ্চুরিতে শেষ ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়েছে আফগানিস্তান।

সেই রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়ে দিলেন স্পিনার নাসুম আহমেদ এবং ফিল্ডার ইয়াসির আলি রাব্বি।

প্রথম ওভারটি করার জন্য অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বল তুলে দেন নাসুম আহমেদের হাতে। ওভারের দ্বিতীয় বলেই ব্যাটের কানায় লাগিয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন হযরতউল্লাহ জাজাই। কিন্তু বলটা গিয়ে পড়ে অনেকটা দুরে। ফিল্ডার সেই ক্যাচটি ধরতে পারলেন না।

ওভারের চতুর্থ বলেই রহমানুল্লাহ গুরবাজ ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন পয়েন্টে। কোনো রান করার আগেই আউট হয়ে গেলেন রহমানুল্লাহ।

পরের ওভারে মাহেদী হাসানের বলে ক্যাচ তুলেছিলেন হজরতউল্লাহ জাজাই। কিন্তু সেই ক্যাচ ফেলে দেন মুনিম শাহরিয়ার। খুবই সহজ একটি ক্যাচ ছিল ওটা। কিন্তু নাসুম পরের ওভার বল করতে এসে আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠলেন। তার দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে হযরতউল্লাহ জাজাই ক্যাচ তুলে দেন লং অনে। সেটি তালুবন্দী করেন মোহাম্মদ নাইম।

ওভারের তৃতীয় বলেই তার বলে বোল্ড হয়ে গেলেন দরবিশ রাসুলি। ৬ বল মোকাবেলা করে মাত্র ২ রান করেছিলেন তিনি। ৮ রানে পড়লো ৩ উইকেট। আফগানদের চতুর্থ উইকেট হিসেবে করিম নাজাতকে তুলে নেন নাসুম আহমেদ। ২০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকতে শুরু করে আফগানরা।

তবে এ সময় তাদের জন্য স্বস্তি নিয়ে আসেন মোহাম্মদ নবি এবং নজিবুল্লাহ জাদরান। এ দু’জনের ব্যাটে গড়ে ওঠে ৩৭ রানের জুটি। এই জুটি যখন বাংলাদেশের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে, তখনই সেটা ভাঙার দায়িত্ব নিলেন সাকিব আল হাসান।

শুধু জুটি ভাঙাই নয়, পরপর দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ধরে রাখলেন সাকিব। রিভিউ নিয়ে একবার বেঁচে যাওয়া মোহাম্মদ নবিকে এবার আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন সাকিব। ১৯ বলে ১৬ রান করে ফিরে যানে আফগান অধিনায়ক।

পরের ওভারেই আবার আঘাত হানলেন সাকিব। এবারও উইকেটে প্রায় সেট হয়ে যাওয়া নজিবুল্লাহ জাদরানকে ফেরালেন তিনি। ২৬ বলে ২৭ রান করে সাকিবের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে মুনিম শাহরিয়ারের হাতে ধরা পড়েন নজিবুল্লাহ।

 

ad

পাঠকের মতামত